• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ফার্মগেটে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

অনিয়মের মাধ্যমে নামজারি অনুমোদন, বেতন কমলো এসিল্যান্ডের

সংবাদদাতা / ৬২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব  প্রতিবেদক: অবসরে যাওয়া কানুনগোর আইডি ব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাতটি নামজারি মামলা অনুমোদন করেছেন বগুড়া সদরের সাবেক সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) বীর আমির হামজা। নামজারি মামলা অনুমোদনের পর সৃষ্ট নামজারি খতিয়ানে ওই কানুনগোর স্বাক্ষরও ব্যবহার করেছেন তিনি। এজন্য লঘুদণ্ড হিসেবে আমির হামজার বেতন কমানো হয়েছে।

আমির হামজার বেতন এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপে নামানোর লঘুদণ্ড দিয়ে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আমির হামজা এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পরিচালকের দায়িত্ব রয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৮ জুন পর্যন্ত বগুড়া সদরের এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। শাস্তি দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আমির হামজা এসিল্যান্ড থাকার সময় ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কানুনগো নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া অবসরে যান। তিনি অবসরে যাওয়ার পরও ওই বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত তার ই-মিউটেশন আইডি সক্রিয় রেখে এবং ওই আইডি ব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাতটি নামজারি মামলা অনুমোদনের পর সৃষ্ট নামজারি খতিয়ানে নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়ার স্বাক্ষর ব্যবহার করেন আমির হামজা।

পরে ২০২২ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি পরায়ণতা’র বিভাগীয় মামলা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ২৬ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে অভিযোগটি যথাযথভাবে তদন্ত করে এবং সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে জরুরি ভিত্তিতে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেওয়া হয়। শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তদন্ত প্রতিবেদনে বীর আমির হামজার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী আমির হামজাকে এক বছরের জন্য ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ অর্থাৎ ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ এর গ্রেড-৯: ২২০০০-৫৩০৬০/- টাকা বেতন স্কেলের নিম্নধাপ ২২০০০/- টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণের ‘লঘুদণ্ড’ দেওয়া হয়। তবে দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২২০০০-৫৩০৬০/- টাকা বেতন স্কেলে (গ্রেড-৯) বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন ধাপে ফিরবেন। তিনি বকেয়া কোনো আর্থিক সুবিধাদি পাবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...