• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

অভয়নগরে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ বেড়েই চলেছে

Reporter Name / ৮৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

কামাল হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ- যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ কোন ভাবেই যেন থামছেনা। বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৩০ দিনে এ উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ শ’ ৫০ জন রোগী। আর গত ২৪ ঘন্টায় ( শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত) উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অনেকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর ও খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়লেও নওয়াপাড়া পৌরসভাসহ উপজেলা জুড়ে তেমন কোন পরিচ্ছন্নতা অভিযান বা গণসচেতনতা লক্ষ করা যায়নি। এমনকি গণসচেতনা সৃষ্টির জন্য উল্লেখযোগ্য কোন কর্মসূচিও দেখা যায়নি। উপরোন্তু খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিই যেন মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিচ্ছনতার বালাই নেই হাসপাতালটিতে। ড্রেনগুলোতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। হাসপাতালের চারিপাশ ভরে আছে খানা-খন্দ আর জঙ্গলে। ফলে হাসপাতালে যেতেও এখন আতংকিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালটির চারিপাশ ভরে আছে ভয়াবহ জঙ্গল ও আগাছায়। পরিত্যাক্ত ভবন গুলোর যেখানে সেখানে জমে আছে পানি। বিশেষ করে হাসপাতালের ড্রেণ গুলোতে দিনের পর দিন পানি জমে থাকায় সেগুলোতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এদিকে নওয়াপাড়া পৌরসভার অধিকাংশ ড্রেনগুলো পরিস্কার করা হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে অনেক ড্রেন গুলোতে পানি জমে আছে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি খো যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ভবদহ অধ্যুষিত জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা গেছে। এছাড়া গ্রামের ছোট ছোট বাজার গুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় এবং বাজারের পানি নিস্কাষনের যথার্থ ব্যবস্থা না থাকায় যেখানে সেখানে পানি জমে মশার নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এসকল স্থানে ডেঙ্গু মশা প্রজনন বৃদ্ধি করে চলেছে। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমেছে।

২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এক প্রশ্নে টিএইচও বলেন, হাসপাতালে পরিচ্ছনতার কাজ চলমান রয়েছে। তবে আশ পাশের দোকানি ও বাসাবাড়ির লোকজন হাসপাতালের ভিতর ময়লা-আবর্জনা ফেলানোর কারনে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার ড্রেনের চেয়ে হাসপাতালের ড্রেন নিচু হওয়ায় কিছু পানি ড্রেনে স্থায়ীভাবে জমে থাকে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌরসভাকে একাধিকবার চিঠি দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category