নওগাঁ প্রতিনিধি: গত কয়েক বছর আগেও এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাথে- সাথেই ফলপ্রার্থীর বন্ধু- বান্ধব ও পরিবার- পরিজন তথা আত্মীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণের ধূম পড়ে যেতো। আনন্দ- উল্লাসের সাথে চলতো মিষ্টি মুখ করার সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতি আর দেখা যায়নি নওগাঁয় গত সোমবার এস.এস.সি সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তি সময় গুলো। পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডের মমতাজ মিষ্টান্ন ভান্ডার, মায়ের দোয়া মিষ্টি ঘর, দেবারপুর মিষ্টি বাড়ি, পত্নীতলা মিষ্টান্ন হাউস, ঘোষ মিষ্টান্ন হাউস এর দোকানিরা জানায়, ‘গত কয়েক বছর আগেও এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাথে-সাথেই ভাল রেজাল্ট উত্তীর্ণ হওয়া পরিবার গুলোর পক্ষে ২-২০ কেজি পর্যন্ত মিষ্টি কিনতো। এমনকি, কেউ কেউ এক থেকে দেড় মণ মিষ্টিও কিনতেন। এখন আর সেই দিন গুলো শুধুই স্মৃতির! এবছর আমরা হতাশ! কেননা, আশানুরুপ মিষ্টি বিক্রয় হয়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, এমন চিত্র ছিলো জেলার ১১ টি উপজেলার ইউনিয়নের পর্যায়ের পাড়া- গাঁয়েও। সচেতন ও অভিজ্ঞ মহলের মনে করেন, মূলত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বাজারে সেই কেজি- কেজি মিষ্টি কেনার সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন মানুষ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে গেছে। তাই অতিরিক্ত বিলাসিতা বর্জন করছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় মিষ্টির বাজারে প্রকার ভেদে প্রতিকেজি বর্তমানে ১৫০- ৩৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।#
আপনার মতামত লিখুন :