• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
টঙ্গীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু সমালোচনা করবো, তবে সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবো না: রিজভী ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: ঢামেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তবুও কেন এসপি আনোয়ারকে রাখতেই হবে সুনামগঞ্জে? উর্মি হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব সিঙ্গাপুরে মিজানুর রহমান সিনহাকে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা! সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মিঠু’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ১০ সড়কে ছিনতাই ঠেকাতে হালকা অস্ত্র পাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন সাংবাদিক মনির হায়দার

গাইবান্ধায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার: ৫

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- / ১৬০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় গত ১৯ মার্চ চালককে হত্যার পর মরদেহ ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্য্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) কামাল হোসেন।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওবায়দুল ইসলাম (২৪), রুবেল মিয়া (২২), জসিম উদ্দিন (৩২), সাজু মিয়া (৪০) ও রেজাউল করিম (৫০)। এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ওবায়দুল, রুবেল ও জসিম।

এসপি কামাল হোসেন আরো জানান, হত্যাকান্ডটি ছিলো একটি ক্লুলেস ঘটনা।

দীর্ঘদিন থেকে এদের ধরার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে অবশেষে আসামীদের ঢাকা জিরাবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের দু’জনের বাড়ি সাঘাটা উপজেলায় ও একজনের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। এছাড়া ছিনতাই করা রিকশা-ভ্যানটি কেনার সঙ্গে জড়িত সাজু ও রেজাউলকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয। তাদের বাড়ি সাঘাটার বারোকোনা বাজার এলাকায়।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ওবাইদুল, রুবেল ও জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে রুবেলের অটোভ্যানটি সাঘাটা বাজার থেকে ভাড়া করেন তারা । পরে বাদিনারপাড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার পথে নির্জন এলাকায় অটোচালক রুবেলকে তার ব্যবহৃত চাদর গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে তারা অটোভ্যান ও মোবাইল নিয়ে চলে যান। পরে ভ্যানটি স্থানীয় বারোকোনা বাজারের সাজু ও রেজাউলের কাছে সাড়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে রাতেই তারা একসঙ্গে ঢাকায় চলে যান।

গ্রেফতার এর পর জিজ্ঞাসাবাদে ওবাইদুল, রুবেল ও জসিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা ঢাকায় একই ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রকৃতপক্ষে আসামীরা মাদকাসক্ত। মূলত টাকার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ও ছিনতাই কর্মকাণ্ড করেছেন বলেও জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...