ভোটদান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। বুধবার সকাল ৮টায় রাজশাহীর ১৫৫ কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর উপশহর স্যাটেলাইট টাউন স্কুলে ভোট দেন খায়রুজ্জামান লিটন। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনি, বড় মেয়ে ডা. আনিকা ফারিহা জামান ও ছোট মেয়ে। তারাও একই কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোটদান শেষে লিটন বলেন, জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিও সন্তোষজনক। সেক্ষেত্রে ৬০ ভাগের বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ বেশ ভাল। কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে বিভ্রাট সৃষ্টির খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লিটন বলেন, রাজশাহীতে প্রচুর ইভিএম ব্যাকআপ আছে। একটা কাজ না করলে বদলে দেবেন নির্বাচন কমিশন।
এই মুহূর্তে কোনো প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য দুই প্রার্থীকেই তিনি সমান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। কাউকে ছোট করে দেখছেন না। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে লিটন বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমিও একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কেউ অংশগ্রহণ না করলে কার কি করার থাকে। তবে বিএনপি এই ভোটে এসে নিজেদের জনপ্রিয়তা ও জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে পারত।
এদিকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোটদান শেষে লিটন নগরীর কেন্দ্রগুলির পরিস্থিতি দেখতে মেহেরচন্ডি, মির্জাপুর, জামালপুর, চকপাড়াসহ দূরের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে চলে যান। লিটন আরও বলেন, আমি বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখব। এদিকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর সংযোগ সড়কের ওপর চেকপোস্টসহ কঠোর নজরদারি রয়েছে সকাল থেকেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের টহলদারি রয়েছে। কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে।