• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

নাচোলে সনদ ছাড়াই গোপনে আচার ও আমের জুস বানিয়ে পাচার

সংবাদদাতা / ১৮০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারের নাম ভাঙিয়ে জনৈক এক সাংবাদিককে ম্যানেজ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ সনদ ও বিএসটিআই সনদ ছাড়াই অতি মাত্রায় কেমিক্যাল মিশিয়ে আমের আচার ও জুস (পাল্প) বানিয়ে সংরক্ষণ করে সেগুলি রাতারাতি অন্যত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার নাচোল ইউপির হাঁকরইলে জনৈক এক সাংবাদিকের বাড়ির পাশে অবস্থিত গ্রীনটেক এগ্রো লিঃ নামক আমের জুস (পাল্প) বানানো প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ৫ বছর বন্ধ ছিল। গ্রীন টেক এগ্রো লিঃ কারখানাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার জনৈক ওদুদ মিয়া ভাড়া নেন। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র(পরিবেশ সনদ) বিএসটিআই ও জেলা সিভিল সার্জনের প্রিমিশিয়াস সনদ ছাড়াই গত ২০২১ সালে অতিমাত্রায় কেমিকেল মিশিয়ে আমের আচার বানিয়ে রাতের বেলায় সেগুলি সরিয়ে ফেলেছিলেন।

চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কোন প্রকার সনদ ছাড়াই অতিমাত্রায় কেমিকেল মিশিয়ে আমের আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করেছেন। গত জুলাই মাসে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও শ্রম আইন লংঘন করে আমের জুস (পাল্প) বানিয়ে আবারও অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন। আমের জুস (পাল্প) বানানোর ফলে কারখানাটির পাশে অকেজো ইটিপির তরল ও পাশে ফেলে রাখা আমের আঁটিসহ কঠিন বর্জের গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে গেছে।

আর এসব অনিয়মের সাথে জড়িত ও দাপটের সাথে সহযোগিতা করছে জুস কোম্পানীর পাশের স্বামী পরিত্যাক্তা শ্রীমতি দুলালী রানী ও তার ছেলে কৃষ্ণ শিং এবং ফ্যাক্টরী ম্যানেজার রোমান আলী। ভাড়াটিয়া ওদুদ মিয়া ও ফ্যাক্টরী ম্যানেজার রোমান আলী ফ্যাক্টরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার রিজাউল হকের নাম ভাঙিয়ে ফ্যাক্টরী চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে ওই ফ্যাক্টরী এলাকাটি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের আখড়ায় পরিনত করেছে কোম্পানীতে চাকুরীরত স্বামী পরিত্যাক্তা শ্রীমতি দুলালী রানী ও তার ছেলে কৃষ্ণ শিং এবং ফ্যাক্টরী ম্যানেজার রোমান আলী। বর্তমানে অতি মাত্রায় কেমিক্যাল মিশানো আমের আচার (ড্রামে সংরক্ষিত) রাতারাতি অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন ফ্যাক্টরীর সাথে জড়িতরা। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরী ম্যানেজার রোমান আলী জানান, প্রতিষ্ঠানটি ভোলাহাট উপজেলার জনৈক আব্দুল ওদুদ মিয়াকে ভাড়া দে’য়া হয়েছে। সমস্ত লাইসেন্স ভাড়াটিয়ার করার কথা। লাইসেন্স না করে থাকলে এ জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন।

লাইসেন্সের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ফাতেমা বেগম জানান, তিনি খবর পেয়ে ওই কারখানা টি পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা সনদ দেখাতে পারেননি। তবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তার প্রমান পেয়েছেন। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটির ভাড়াকরা মালিক আব্দুল ওদুদ মিয়া জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদসহ অন্যান্য সনদ করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন জানান, জুস ফ্যাক্টরী আছে জানতাম না। জুস বা আচার বানাতে গিয়ে পরিবশ দূষিত হলে পরিদর্শণ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...