বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনঃ দেশব্যাপী হিন্দু নির্যাতন, নিপীড়ন ও মঠ- মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ এবং ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রংপুরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের বিভাগীয় মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ নভেম্বর রংপুর জেলা স্কুল মাঠে এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে তা মাহিগঞ্জ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠেয় এ সমাবেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন বিভাগের জেলা উপজেলার লাখো সনাতনী লোকজন অংশ নেয়। কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আসা কাউনিয়া পয়েন্টে অনেক সনাতনী লোকজন দুষ্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের ৮ দফা দাবি সমুহের মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন। অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করাসহ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে রূপান্তর। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’- এর যথাযথ বাস্তবায়ন। সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গুলোতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ ও প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করা। ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড’ আধুনিকায়ন।দুর্গা পূজায় ৫ দিন ছুটিসহ প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটির ব্যবস্থা করা।
সমাবেশে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, সহ-মুখপাত্র গোপীনাথ ব্রহ্মচারী, রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, মানিক চৌধুরী, আলোক ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এদিকে সমাবেশ কে ঘিরে আইন- শৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনী বিশৃঙ্খলা এড়াতে শক্ত অবস্থানে ছিলেন।