• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ফার্মগেটে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

ভুল অপারেশনে রক্তনালী কেটে ফেলায় আদালতে মামলা

সংবাদদাতা / ২০৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ- সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাস্ট হসপিটালে পাইলসের ভুল অপারেশনে কেটে ফেলে রক্তনালী পরিচালকসহ ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনহীন ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে অপচিকিৎসা। রোগীদের চিকিৎসা করছেন ভূয়া ডাক্তার। অপারেশন করছে ওয়ার্ডবয়। পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার আব্দুল বারেক ওরফে পাটোয়ারী নামে এক রোগীর পাইলস অপরেশনে ভুল করে রক্তনালী কেটে ফেলায় হসপিটালটির পরিচালক ও তিনজন ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ নারায়ণগঞ্জ মামলা করেন রোগীর স্ত্রীর ছালমা বেগম।

মামলারা বিবাদীরা হলেন, ডা. কে আলম, ডা. শাকিল হোসাইন, ডা. হাসনা আক্তার ও হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মনজুর রহমান। পাইনাদী নতুন মহল্লার ভাড়াটিয়া মামলার বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, পাইলস চিকিৎসার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টায় স্বামী আব্দুল বারেক ওরফে পাটোয়ারীকে মাদানীনগর মাদরাসার বিপরীতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন শাহ আলম ভবনে ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাই। তখন বিবাদী’রা স্বনামধন্য ডা. ও খুবই দক্ষতার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচের কথা বলে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন পরিচালক মনজুর রহমান। পরে তার কথা মত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর গভীর রাতে আপারেশনের জন্য রোগীকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এসব ভুয়া ডাক্তাররা পাইলস অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ- পতঙ্গ ও রক্তনালী কেটে ফেলে। এতে রোগীর জীবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। রোগীর রক্তকরণ বন্ধ করতে না পেরে ভুয়া ডাক্তাররা পালিয়ে যায়।

ছালমা বেগম বলেন, স্বামীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ডেমরার বাঁশেরপুল মেডি- হেলথ স্পেশালাইজ্ড হসপিটাল্স এন্ড ডিজিটাল ডায়গনস্ট্রিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্তার এমজি ফেরদৌসের তত্ত্বাবধানে নিয়ে চিকিৎসা করলে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন। তখন ট্রাস্ট হসপিটালের পরিচালক মনজুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসনা আক্তার স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে আমার বাসায় গিয়ে বিষয়টি কাউকে বলা ও আইনের আশ্রয় না নিতে হুমকি ধমকি দেয়। মামলা করার পরও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে। এবিষয়ে ডাক্তার ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আগে যে অপারেশন করা হয়েছিল তাতে রোগীর পাইলস অপারেশন হয়নি। রক্তনালী কেটে ফেলায় তাৎক্ষনিক রক্ত করণ বন্ধ করতে পারেনি। ভুল অপারেশন করা হয়েছিল। সময় মত নিয়ে আসায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই হসপিটালটি করেছিলেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার তরগাও গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে ডাক্তার ইমরান হোসেন। গত ২৩ এপ্রিল হসপিটালটি ৩৭ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করে কিনে নেন বাঘেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার পিলজংগ গ্রামের কাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে কাজী মনজুর রহমান। হসপাতালটি কিনতে গিয়েও মনজুর রহমান ডাক্তার ইমরানের সাথে প্রতারণা করেন। ভবন মালিককে দেওয়া অগ্রিম ও বকেয়া ভাড়া কর্তন করে নগদ ১০ লাখ ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৪ টাকার একটি চেক দেয় ঢাকার নিউমার্কেট ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ শাখার। যার চেক নং- ৩১৬৪১২১। তার ওই ব্যাংক একাউন্ট শূন্য থাকায় টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না ডা. ইমরান। অথচ ১৬ আগস্টের মধ্যে টাকা পরিশোধের শর্ত ছিল অঙ্গীকার নামায়।

মনজুর রহমানের কাছে টাকা চাইলে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে ডা. ইমরান বলেন, হসপিটালটি বিক্রির স্বাক্ষী ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সময়মত টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এখন রহস্যজনক কারণে ওই পুলিশ অফিসার আমার টাকা আদায়ে কোন ভূমিকা না নিয়ে প্রতারক মনজুর রহমানের পক্ষ নিয়েছেন। হসপিটাল বিক্রির সময় উপস্থিত ও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষী থাকার সত্যতা স্বীকার করে এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি ডাক্তার ইমরানকে বলে দিয়েছি চেকের মামলা করে দিতে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মনজুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। হসপিটালটি কিনে তার স্ত্রী ডা. হাসনা আক্তার ও দেলোয়ার হোসেনকে অংশিদার বানিয়ে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে হসপিটালটি পরিচালনা করছেন।হসপিটালটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নিয়মিত এমবিবিএস ডাক্তার ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত নার্স নেই। অপরেশন থিয়েটার ও এক্স- রে কক্ষ স্বাস্থ্য নীতিমালা মেনে করা হয়নি। পরিচালকের কক্ষে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও গুন্ডা পান্ডা আড্ডা দেয়। কোন রোগী বা তার স্বজনরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন তোললে এসব গুন্ডা পান্ডারা হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

এবিষয়ে মনজুর রহমান বলেন, রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে যেহেতু মামলা হয়েছে তাই তা আদালতে মোখাবেলা করব। কোন ডাক্তার রোগীর অপারেশন করেছিল তা তিনি জানেন না বলে জানান। হসপিটালে যেসব ডাক্তর রোগী দেখেন তাদের বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার কত তাউ তিনি জানেন না।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...