নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাকিব হোসেন (১৮) হত্যা মামলার পলাতক প্রধান ০৩ আসামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে র্যাব_১১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারী সহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন গোলা-কান্দাইল এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামী দেলোয়ার (৪০), পিতা-আসমত আলী, সাং- গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া, সজিব মিয়া (২২), পিতা-জাকির হোসেন, সাং- গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া, মো রুবেল হোসেন (৩৮), পিতা- মৃত সাত্তার, সাং- তারাবো বিশ্বরোড, সর্বথানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জসহ। এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীরা ভিকটিম রাকিব হোসেন’কে ২১ সেপ্টেম্বর রাত ০৮.৩০ টায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র- সস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল সাকিনস্থ হান্নানের চায়ের দোকানের সামনে অতর্কিতভাবে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে।
সে সময় ১ নং আসামী দেলোয়ার (৪০) তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ভিকটিম রাকিব এর পিঠের উপর দিকে ডান পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর জখম করে এবং ২ নং আসামী সজিব (২২) এর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে ভিকটিম রাকিবের বাহুতে কোপ দিয়া হাত দ্বিখন্ডিত করিয়া ফেলে।
এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে এলোপাথারি ভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে ভিকটিম রাকিব’কে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম রাকিবের বোন মোছা আখি আক্তার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ৬৯।
মামলা হওয়ার পর থেকেই হত্যাকারীরা কৌশলে আত্মগোপন করে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিল। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং নৃশংস হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৩ সেপ্টেম্বর ২৩.৪৫ টায় র্যাব- ১১, সিপিএসসি, আদমজীনগরের একটি আভিযানিক দল র্যাব- ১৪ এবং র্যাব- ১৫ এর সহায়তায় হত্যাকারী দেলোয়ার (৪০), সজিব মিয়া (২২), মো রুবেল হোসেন (৩৮)দের’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। উপরোক্ত মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব- ১১ এর অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।#