• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ফার্মগেটে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদদাতা / ৫৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

নিজস্ব  প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে রিফিউজি হিসেবে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপর থাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মিয়ানমারের বিষয়টা গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনের জন্য যেটা করার তা করবেন।

সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ -এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরের ফলে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার এবং সার্বিক উন্নয়নের একটা নতুন দুয়ার খুলে গেল। সেখানে একটা ভালো সুযোগ সৃষ্টি হলো। আপনারা জানেন যে, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা, যোগাযোগ, মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ, সার্বিকভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই বন্ধনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ডের ফল ও খাদ্য উৎপাদনে অনেক গবেষণা আছে। আমরা এসব ক্ষেত্রে মতবিনিময় করেছি। দুই দেশের মধ্যে এইসব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের চট্টগ্রাম থেকে থাইল্যান্ডের বন্দরের সাথে সরাসরি কার্গো নেয়ার ব্যবস্থা আছে। তিনি বলেন, আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। এই সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...