• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণ, রাঙামাটি থেকে উদ্ধার করলো, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ

সংবাদদাতা / ৮৪৪ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ থেকেঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে অপহরনের ৫ দিনের মাথায় অপহৃত ১৪ বছরের কিশোরী কে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। অপহৃত কিশোরীর নাম নুসরাত। ঘাটারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। এ বিষয়ে শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ ইং তারিখ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আর- রশিদ জানান, নুসরাত তার বাবা মা সহ ঘাটারচর শান্তিনগর টানপাড়া এলাকায় নানা নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে। নুসরাতের পিতার নাম দিদারুল আলম। গত ১৪ মে সকাল ৭ টায় নুসরাত স্কুলে যাওয়র উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফারজানা ও ফারজানার স্বামী আমিন উদ্দিন নুসরাতকে পথিমধ্য থেকে ভুল বুঝিয়ে অনত্র নিয়ে যায়।

সকাল ১০ টার দিকে দিদারুল আলমের ছোট মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে জানায় তার বোন নুসরাত স্কুলে যায় নি। পরে পরিবারের লোকজন নুসরাত কে খোজাখুজি করতে থাকে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে তারা নিচ তলার ভাড়াটিয়া ফারজানার ঘড়ের সামনে আসলে ঘড়টি তালা দেয়া দেখতে পাই এবং ঘরের মধ্যে কোন মালসামান ও নেই। পরে একজন প্রতিবেশী মারফত দিদারুল জানতে পারে নুসরাতকে সকাল ৭ টায় ফারজানা ও আমিন উদ্দিনের সাথে দেখাছে।

তাৎক্ষনিক দিদারুল আমিন উদ্দিনকে ফোন  দিলে আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে ফোন কেটে দেয় এবং ফোনটি একেবারে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বিকাল ৫ টার দিকে দিদারুল আলমের বোনের নাম্বারে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে এবং এ ঘটনা পুলিশ কে জানালে নুসরাত কে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে, মামুন আর রশিদ আরো জানান, এ ঘটনায় দিদারুল আলম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন। মামলার প্রেক্সিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের নির্দেশনায়, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহবুদ্দীন কবিরের তত্বাবধানে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল খাগড়াছরি ও রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নুসরাত কে উদ্ধার করা হয়। এবং অপহরনকারী মুল হোতা  ফারজানা কে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরো জানান, অপহরনের সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রয়েছে। আসামী ফারজানা ও তার স্বামী আমিন উদ্দিন পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধানায় অপহরন ও মুক্তিপন দাবীর একাধিক মামলা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...