• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ফার্মগেটে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

সাগরে ডুবে নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ ফিরছে আজ

সংবাদদাতা / ৫৬ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

নিজস্ব  প্রতিবেদক: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌ দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, মৃতদেহগুলো সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটযোগে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর আগে সকল কার্যক্রম সম্পন্নের পর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এ সময় তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মৃতদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন যথাক্রমে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন যথাক্রমে রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। তাদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি।

দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ৩ জন ও নৌকার মাঝি রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ যাত্রী মারা যান। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। মৃত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তিউনিসিয়ার জারবা ও গ্যাবেস হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে সংরক্ষিত মৃতদেহগুলো পরিদর্শন করে। এরপর দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় সম্ভাব্য মৃত আটজন বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এরপর দূতাবাস হতে নিহত বাংলাদেশিদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করে মৃতদেহগুলো দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সেই লক্ষ্যে দূতাবাস হতে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় মিউনিসিপালিটির সাথে নিরলসভাবে কাজ করে পর্যায়ক্রমে মৃতদেহগুলোর সুরতহাল, মৃত্যুসনদ ও মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যুসহ অন্যান্য সকল দাফতরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে বর্ণিত মৃতদেহগুলো দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার পর দূতাবাসের পক্ষে মৃতদেহগুলো দেশে প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...