মো: মিজানুর রহমান মৃধাঃ (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল থেকে কালিনগর ৯ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তায় ৯ শতাধিকের বেশি ছোট বড় খানা খনন্দে ভরে গেছে। খানা খনন্দের ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের ও ভ্যান চালক শ্রমিকদের। খানা খনন্দে পড়ে কখনও ভ্যানের ফর ভেঙে পড়ছে। আবার কখনও ভ্যান উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাচ্ছে এমনই অভিযোগ করেন ভ্যান চালকরা।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সহস্রাইল থেকে কালিনগর ৯ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই প্যাকেজে সংস্কারের কাজ হয়। এক প্যাকেজের বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা, আরেক প্যাকেজের বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা।
সংস্কারের অর্থ মোট বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা।সংস্কারের কাজ ৪ বছর পর পর করার নিয়ম থাকলেও প্রকল্প না থাকায় নতুন করে আর সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বন্ডপাশা গ্রামের ভ্যান চালক এসকেন মোল্যা (৪৫) বলেন, খানা খনন্দের কারনে ভ্যানে যাত্রী নিয়ে যাওয়া খুব কষ্ট কর হয়ে পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে।
যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে ভ্যানের সামনের ফর ভেঙে পড়তে হয়। মাঝে মধ্যে ভ্যান উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যেতে হয়। পুরো রাস্তায় খানা খনন্দে ভরে গেছে। সূর্যোগ গ্রামের গ্রামের আরেক ভ্যান চালক ইব্রাহিম মোল্যা (২৬) বলেন, রাস্তায় খানা খনন্দে ভরে গেছে। মাঝে মধ্যেই দেখা যায় ভ্যানের ফর ভেঙে পড়ে থাকতে অনেক’কে। একটা ভ্যানের ফর ৬ মাসের বেশি যায় না। বৃষ্টি নামলে রাস্তার মধ্যে খানা খনন্দে পানি ভরে পুকুরের মতো মনে হয়।
রাস্তা সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে।সূর্যোগ বাজারের ব্যবসায়ী ও কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা আহাদ মোল্যা বলেন, সহস্রাইল থেকে কালিনগর পাঁকা রাস্তা খানা খনন্দের কারনে এতোটাই খারাপ হয়েছে তা আর বলে শেষ করা যাবে না। রাস্তার মাঝে মাঝে ছোট ছোট পুকুরের মতো হয়ে গেছে। বৃষ্টির দিনে তো মাঝারী ও বড় যান বাহন গুলো চাকা ডেবে ফেসে যায়। মাঝে মধ্যে ভ্যানের ফর ভেঙে যাত্রী সহ পড়ে যায়। রাস্তা সংস্কারের খুবই জরুরী হলেও সংস্কার হচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) পূর্ণেন্দ্র সাহা বলেন, সহস্রাইল থেকে কালিনগর ৯ কিলোমিটার রাস্তা ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই প্যাকেজের মাধ্যমে ১২ কোটি ১০ টাকা সংস্কার কাজে ব্যয় হয়। সংস্কার কাজ চার বছর পর পর করার কথা। প্রকল্প না থাকায় সংস্কার করার সমস্যা আছে। তবে আগামী বছর ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হবে।