নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট ও আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী। তাদের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমলগুলো খোলা থাকে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আবাসিক এলাকা বিভিন্ন মার্কেট শপিংমলের নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করানো হবে। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেপ্তারের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে এসব লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ঈদের আগে, ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম।
কমিশনার বলেন, “আনোয়ার হোসেন একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তিনি রামপুরা থানার সি ব্লকের অ্যাভিনিউ-৫ এর ‘অলংকার জুয়েলার্স’ দোকানের মালিক। প্রতিদিনের মতো তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে দোকানের ১৬০ ভরি স্বর্ণ, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও নগদ এক লাখ টাকাসহ বাসায় ফিরছিলেন। রাতে বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিজ ভাড়া বাসার গেটের সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৬ থেকে ৭ জন দৃষ্কৃতকারী আগ্নেয়াস্ত্র ও চাপাতিসহ তার গতিরোধ করে।
তার কাছে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আনোয়ার হোসেন বাধা দিলে দৃষ্কৃতকারীরা তাকে গুলি করে। দৃষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলি আনোয়ার হোসেনের বাম হাঁটু ও বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে। এ সময় দৃষ্কৃতকারীরা তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে তার সাথে থাকা ব্যাগে রক্ষিত স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনকে রামপুরার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারের স্ত্রী বাদি হয়ে রামপুরা থানায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন।”
তিনি বলেন, “ঘটনার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করে। পূর্বাপর বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বরিশাল হতে একজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে বনশ্রীতে ডাকাতি ঘটনার পূর্বে উক্ত ঘটনায় জড়িতরা একটি প্রস্তুতি বৈঠক করে। প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবির চারটি দল নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর এবং মাদারীপুরে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে।” ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কাউছার, ফরহাদ খলিলুর রহমান, সুমন দুলাল চৌধুরী ও আমিনুল।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার