নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- ছাত্রলীগের কেউ সিগারেট খেয়েছে দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো এমপি বাবু'র এধরণের বক্তব্য যখন জেলার প্রধান প্রধাণ অনলাইনে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে সহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ারপর বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার মূখে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে শহরময় জুড়েই চলছে আলোচনা সমালোচনা। চায়ের ষ্টল থেকে শুরুকরে অভিজ্ঞ মহল পযর্ন্ত চলছে হাসি ঠাট্টার রোল। সমালোচনাকারীদের অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন একজন শিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা এধরনের বক্তব্য এক হয়তো খুবই হাস্যকর।
নানা কারণে নাম পরিচয় না প্রকাশের স্বার্থে একাধিক ব্যক্তি তার ঐ বক্তব্য কে উদ্ভট , হাস্যকর সহ অনেকেই আবার উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন। তবে অনেকেই বলেছেন এটা তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা। সব মিলিয়ে এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর মূখে বলা "ছাত্রলীগের কেউ সিগারেট খেয়েছে দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো" এধরণের বক্তব্য দিয়েছেন ইচ্ছে করে এবং নিজেকে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আনতে।
অপর একটি মহল এমপি বাবুর এধরনের বক্তব্যে খুবই হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বলেছেন, দেশের বতর্মান বাস্তব চিত্রে দৃশ্য মান যে স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রদের মধ্যে প্রায় ৫০ভাগ ছাত্র ই ধুমপান করে যেদেশে সেখানে একজন সুশিক্ষিত দায়িত্ববান রাজনৈতিক নেতা হয়ে কি ভাবে ঐধরণের বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক এই নেতা। অপর একটি মহল এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর এধরনের বক্তব্য কে ইচ্ছেকৃত উদ্দেশ্য প্রনোদীত বলে আক্ষায়িত করেছেন এই জন্য যে, জনসমূক্ষে এসকল বক্তব্য দিয়েই তিনি আরোও আলোচিত হতে চাইছেন।
এমপি বাবু'র বিরোধী শিবিরের নেতারা বলেছেন এটা ডাহা মিথ্যা। তিনি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এটা মহান আল্লাহ্ তার মূখে বলিয়ে দিয়ে বাস্তবতর নজির দেখালেন যে ক্ষমতাসীনরা চরম মিথ্যা বাদী। দেশবাসীকে মিথ্যার বুলি শুনিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করেছে এবং উন্নয়নের মিথ্যা বুলি শুনিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তবে অভিজ্ঞ মহলেরই অনেকেই বলেছেন এধরনের বক্তব্য অন্তত একজন সংসদ সদস্য মূখে তাও আবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলাটা ঠিকই হয় নি। কারণ তিনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সংগঠন ডাকসুর নেতা ছিলেন তিনি। মহলটি হতাশ হয়েছেন রীতিমতো। স্থানীয় জনপ্রিয় অনলাইন নারায়ণগঞ্জ টামসের সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত সংবাদটির হুবুহু নিম্নে :-
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেছেন, আজকে যেই ছাত্রলীগ আমাকে মানুষ করেছে। যেই ছাত্রলীগ আমাকে শ্লোগান শিখিয়েছে, সেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বের তুলনা হয় না। করোনার সময়ও আমার কনিষ্ঠ ছাত্রলীগ থেকে বিদায়ী ছাত্রলীগ কেউ ঘরে যায়নি। ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছে দিয়েছে, নিশ্চয়তা দিয়েছে ঔষুধের। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছে ছাত্রলীগ। মানব সেবায় শেখ মুজিব যা চেয়েছিলেন আজ ছাত্রলীগ তাই করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আড়াইহাজারের শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগ ও সরকারি সফর আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন ছাত্রলীগ। বিস্তৃত বাংলাদেশে ছাত্রলীগের কোন বদনাম নেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস মধুর ইতিহাস।
লক্ষ ছাত্রজনতার মাঝে দুই- একটি ঘটনা যা ঘটে এগুলো গনায় পড়ার কথা নয়। শত্রুরা সবসময়ই ছাত্রলীগের দোষ ধরতে চায়। সেই কারণে পত্রিকার শিরোনামে, টেলিভিশনে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাদেশে কোন অপরাধ করতে পারে না। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানদের। তোমরা ছাত্রদল নিয়ে এমন চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। আমার আড়াইহাজারের মুরব্বীরা আছেন। ছাত্রলীগের একটি ছেলে কখনও সিগারেট খেয়েছে বা হাতে নিয়েছে এ ইতিহাস যদি কেউ দেখাতে পারে আমি নিজেই আমার জায়গা থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।
সংসদ সদস্য বাবু বলেছেন, আজকে ছাত্রলীগের মিলন মেলা। প্রচন্ড বৃষ্টিও আমাদেরকে আজকে ঘরে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশে থেকে দেশ গড়ার কারিঘর ও সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে সাজিয়ে তুলে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছেন তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা নেতৃত্বে অনেক ইতিহাস থেকে যায়। এমন একটি ইতিহাসের ধ্রুবতারা তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার