মোঃ আলামিন বেপারীঃ আগৈলঝাড়ায় জায়গার বিরোধের জের ধরে দ্বিতীয়বার হামলার শিকার হয়েছে দুই বোন। তাদের গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আহতের পিতা দরিদ্র সুণীল হালদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোক সেন গ্রামের ওয়াপদা সড়কে পাশের সুণীল হালদারের বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষ মকবুল ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে একাধিকবার সুনীল হালদারের পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল।
এঘটনার জের ধরে ২৭ জুন সন্ধ্যায় সুণীল হালদারের মেয়ে বিবাহিত সুর্বনা হালদার (২৬) ও দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী সুচরিতা হালদার শ্রাবন্তী (১৫) বাড়ি থেকে মকবুল ফকিরের বাড়ির সামনের সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারে যাওয়ার সময় মকবুল ফকিরের ছেলে শরীফ ফকিরের নেতৃত্বে ৩-৪ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে দুই বোন'কে গুরুতর আহত করে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে ফেলে রাখে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এঘটনায় আহত দুই বোনের পিতা সুনীল হালদার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরে এসআই নুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপূর্বে চলতি মাসের ৫ জুন সুণীল হালদারের বাড়িতে গিয়ে মকবুল ফকিরের ছেলে শরীফ ফকির ও সহদর রফিক ফকির দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বসত ঘর, মনসা মন্দির, পাকের ঘর সহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে সুর্বনা হালদার ও স্কুল ছাত্রী সুচরিতা হালদার শ্রাবন্তী'কে মারধর করা হয়েছিল।
তখন সুণীল হালদারের পরিবার থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানার এএসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ শরীফ ফকির'কে আটক করে ভ্যানে তুল্লেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনায় তখন সুণীল হালদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।এব্যাপারে দরিদ্র সুণীল হালদার বলেন, আমরা দরিদ্র, টাকা- পয়সা ও লোকজন না থাকায় বার বার আমাদের উপর মকবুলের পরিবার হামলা- ভাচুরসহ আহত করে।
থানায় গেলে সে রকম কোন সহযোগীতা পাই না। স্থানীয় ভাবে শালীশ- মিমাংসা হওয়ার কথা থাকলে তা হয়নি। অভিযুক্ত শরীফ ফকির হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, দুই বোন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের উদ্দেশ্যে গালগাল করে। এঘটনার প্রতিবাদের তাদের চর থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.আলম চাঁদ বলেন, এসআই সরেজমিন তদন্ত করে আসার পরে মামলা নেওয়া হবে। ৫ জুন এএসআই শহিদুল ইসলাম আটককৃত শরীফ ফকির'কে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা আমার জানা নেই। পূর্বের ঘটনায় দু-পক্ষ স্থানীয় ভাবে মীমাংশা হওয়ার কথা বলায় তখন মামলা নেওয়া হয়নি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার