নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ। অপরাধীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সম্মানি ব্যাক্তিদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাজে মন্তব্য করছে। সিনিয়র সাংবাদিকসহ তাদের ছবি ব্যবহার করেও তারা নানা কুৎসা রটাচ্ছে। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে ভাঙ্গা থানা আ’লীগ সদস্য শহীদুল ইসলাম শহীদ বেশি জড়িয়ে পড়ছে। তারা সাইবার ফাঁদে ফেলছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী, সাংবাদিক ও তাদের পরিবার,পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিরীহ মানুষদের। আবার কৌশলে জিম্মি করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমনকি মানুষের ইজ্জত-সম্ভ্রমও তাদের কারণে নিরাপদ থাকছে না। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হচ্ছে চিকিৎসক, শিক্ষক ও সাংবাদিক। এরই মধ্য মাগুড়া হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মহসিন উদ্দিন ফকির,শিক্ষক আবু ইউসুফ মৃধাসহ শতাধিক সম্মানী ব্যাক্তিকে হয়রানি করছে।
মাগুড়া হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মহসিন উদ্দিন ফকির জানান, শহীদুল ইসলাম একজন প্রতারক। আমাকে নিয়ে ৩ বছর ধওে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইজ্জতহানি করছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেছি। পুলিশ তাকে ধরে এনে কারাগাওে পাঠিয়েছে। ৪ মাস কারাগারে থাকার পর আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা আবারও নিবো। ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে পাহাড়সমান অভিযোগের কারণে রীতিমতো চাপে আছেন তারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একটি অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে গিয়ে আরো একাধিক অভিযোগ জমা হচ্ছে। ফেক আইডি ব্যবহার করার কারণে অপরাধীরা সহজে ধরা না পরায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। আর এখন ভিকটিম হচ্ছে সাংবাদিকরা।
সাইবার অপরাধের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক ও শতাধিক সাংবাদিক ও তাদের পরিবার। ইতিমধ্যে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক কে নিয়ে শহীদুল ইসলাম নামের এক প্রতারক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় হয়। এঘটনায় থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন পন্থায় মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পড়ছে। বিভিন্ন পেশার মানুষের ফেসবুক হ্যাক করছে হ্যাকাররা। এরমধ্যে ভাঙ্গা থানা আ’লীগ সদস্য শহীদুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে ও কিছু পেজে আপলোড করে দিচ্ছে বিব্রতকর নানা পোস্ট।
পরে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। সাইবার ক্রাইম ইউনিট বলছে, প্রায় প্রতিদিনই তাদের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ ধরনের অভিযোগ আসছে। তবে সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রত্যেকের আবেদনে সাড়া দিতেও পারছেন না তারা। এর মধ্যে বিভিন্ন অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে অতি সম্প্রতি শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতে সারাক্ষন সম্মানি ব্যাক্তিদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো। সাইবার অপরাধী মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর ফেসবুক ফ্রেন্ড এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর দেয়। কেউ কেউ টাকাও পাঠায়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছে আইডি ফেরতের জন্য টাকা দাবি করে। না দিলে ফেসবুক আইডি ডিজেঅ্যাবল করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার