নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। আপ্যায়নের নামে টাকা নেন তিনি। নারায়ন পুর এলাকার চিহ্নিত সুদ ব্যবসায়ী ২০১৮ সালে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর মামলার আসামি বাচ্চু খানের নিকট থেকে আপ্যায়নের নামে প্রতি সপ্তাহে মোটা অংকের টাকা নেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ডহরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঢাকা উত্তরা আওয়ামী লীগের নেতা সাগর চৌধুরীর কাছ থেকে সাপ্তাহিক মোটা অংকের আপ্যায়ন বিল আসে এ পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে। হারানো মোবাইল উদ্ধারের নামে নারায়ণপুর এলাকায় দুই জন'কে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয়েছে। দোশতিনা এলাকায় চাঁদাবাজী মামলার আসামি মনির হাওলাদের'কে গুনতে হয়েছে মোট অংকের টাকা। এভাবে টুকটাক টাকা উঠছে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম হতে।
ইউনিয়নের দফাদার সায়েম হাওলাদার বিগত সরকার আমলে কয়েকশো মামলার সাক্ষী ছিলেন। তার কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসী ক্ষুব্ধ। নিজেকে বিএনপি'র লোক পরিচয় দিয়ে পুনরায় পুলিশি তদবিরে সক্রিয় হয়েছে সায়েম দফাদার। বিএনপির সমর্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সক্ষতা রেখে পুলিশ দফাদার সাধারণ মানুষকে হাতে ফেলছে পাশাপাশি চিহ্নিত অর্থ বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট খালি করছে এরা।
এ বিষয়ে সায়েম দফাদার বলেন আমি আইন- শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীর সাথে কাজ করি। বিগত সরকার আমলে দায়িত্ব প্রাপ্ত স্যারেরা আমাকে মামলার সাক্ষী বানাতেন এখানে আমার কিছু করার ছিল না। আমি কোন চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত নই। এ বিষয়ে এস আই মেঃ শহিদুল ইসলাম বলেন আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ করি না এবং এদের'কে চিনিও না।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার