নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়েতে প্রথম টোল দিয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেন। পরে টোল দিয়ে উড়ালসকটিতে ওঠে তার গাড়িবহর।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ে টোল প্লাজায় অর্থ পরিশোধ করেন। কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়েতে ওঠার আগে গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা হারে টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন সরকার প্রধান।
বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের এ মেগাপ্রকল্প উদ্বোধনের পর ছোটবোন শেখ রেহানসহ গাড়িবহর নিয়ে উড়ালসড়কটিতে চড়ে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কাওলা প্রান্তে তাকে এক্সপ্রেসওয়ের বৃত্তান্ত ব্রিফ করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সইয়ের এক যুগ পরে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আলোর মুখ দেখলো এ প্রকল্প। শনিবার এটি উদ্বোধন হলেও চালু হবে আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর)। এদিন ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে।
কোন গাড়ির কত টোল
চার ক্যাটাগরিতে (শ্রেণি) টোল আদায় হবে এ উড়ালসড়ক থেকে। এর জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ক্যাটাগরি-১: কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) টোল ৮০ টাকা।
ক্যাটাগরি-২: মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা; ক্যাটাগরি-৩: ট্রাক (৬ চাকার বেশি) ৪০০ টাকা, ক্যাটাগরি-৪: সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত অংশের যেকোনো স্থানে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে এ টোলহার প্রযোজ্য হবে।
বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফার্মগেট আসতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। সড়কটিতে পাড়ি দিতে সাধারণ যাত্রীদের আগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। এখন থেকে সেটি আর হবে না। উত্তরার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১৫টি সংযোগ সড়ক থাকলেও দুটির কাজ শেষ না হওয়ায় তেরটি সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি চুক্তি সই হওয়া প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ ও চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার