নিজস্ব প্রতিবেদক: পারিবারিক বিরোধপূর্ণ মার্কেট লিখে নিতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু ও তার ছেলে রিয়েনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে কাউন্সিলর বাবু ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিচার চেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করে ডিবি পুলিশকে তদন্তের দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিবি পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ডিবি পুলিশের উদাসীনতার কারণে রবিবার আবারও বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিতে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর করিম বাবু নারায়নগঞ্জের বঙ্গবন্ধু ডিআইটি সড়কে রিয়াজ সুপার মার্কেটে মালিক রিয়াজ চৌধুরী। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে সেই জমির মালিক হন তার দুই ছেলে রাজু, সাজু ও তার মা। করিম বাবু কৌশলে রাজু ও তার মায়ের কাছে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না সূত্রে মালিক হন। এ ঘটনা জানার পর সাজু তার অংশের জায়গাটি বিক্রি করতে না চাইলে করিম বাবুর সঙ্গে শুরু হয় বিরোধ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, জায়গা লিখে না নিতে পেরে মরিয়া হয়ে উঠে কাউন্সিলর বাবু ও তার ছেলে রিয়েন। একের পর এক মামলা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বাবুর কু-নজর পড়ে তার উপর। গভীর রাতে ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করত । গত ২ মাস আগে ওই নারীকে তার বাসায় ডাকে। বাসায় ঢোকার সাথে সাথে প্রথমে পিস্তল দেখিয়ে নারীকে নগ্ন করে তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে, পরবর্তীতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে জানালে নগ্ন ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিবে এবং তার সন্তানকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যেতে বলে। এ ঘটনার ১৫ দিন পর কাউন্সিলর বাবুর ছেলে রায়হান করিম রিয়েন হোয়াটস অ্যাপে ওই নারীকে ফোন দিয়ে তার পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার বাবার ধারণকৃত সেই নগ্ন ভিডিও পাঠায়।
তার সঙ্গে দেখা না করলে ভিডিওটি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। পরে তার সঙ্গে দেখা করলে গুলশানে হোটেল “আমারী ঢাকা’ নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। নাসিক প্যানেল মেয়র-১ ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু ও তার ছেলে রায়হান করিম রিয়েন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পুত্র ইমতিনান ওসমান অয়নের নাম ভাঙিয়ে ধর্ষন, প্রতারণা, জবরদখল, মাদক ব্যবসা, সিটি করপোরেশনের দুর্নীতি করে আসছে। এছাড়াও বাবু ও তার ছেলে রিয়েন পূর্বে বিভিন্ন মামলায় কারাভোগ করেছেন এবং তাদের নিজেস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। ভুক্তভোগী এই নারী গুলশান থানায় মামলা গ্রহণপূর্বক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই ঢাকার তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুলিশের মহা-পরিদর্শক বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার