• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক

কাজী ফরিদের প্রেসক্লাব নামে ব্যবস্যা

সংবাদদাতা / ৪৯২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: ১৯৯৪ সাল হতে জনাব জানে আলম দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর জনাব জানে আলম “ঢাকা প্রেসক্লাব” এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সুনামধন্য সাংবাদিকদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও মাঠ পর্যায়ে তেমন কোন ফলপ্রসূ প্রচার ও ক্লাবের উন্নয়ন করতে পারেনি ততকালীন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব জানে আলম এবং সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পাওয়া কাজী ফরিদ আহমেদ।

সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরিদ পেশায় সাংবাদিক না হলেও জানে আলমের একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদ হয়ে উঠেন নব্য অপেশাদার সাংবাদিক। স্কুল মাস্টার থেকে সাংবাদিক বনে যাওয়া ফরিদ সাংবাদিক না হয়েও ঢাকা প্রেসক্লাবের মত সুনামধন্য ক্লাবের দ্বায়িত্ব পাওয়ায় অতি উৎসাহ নিয়ে ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিথ্যা বানোয়াট প্রমানাদি বানিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের চোখে ধুলি দিয়ে বেশ কয়েকটি ক্লাব সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি করে এবং চাদাবাজী।

ভুমি দখল সহ আরো নানান অপরাধমুলক কাজে লিপ্ত হতে থাকেন এই প্রতারক ফরিদ এবং যার ফলে একাধিক তথা সংবাদ মাধ্যম যেমন, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক অন্যদিগন্ত, দৈনিক জনতা, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ সহ আরো অনেক সংবাদ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।সাংবাদিক’দের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংগঠন “ঢাকা প্রেসক্লাব” ১৯৮৪ সাল থেকে যার পথচলা শুরু হয় ততকালীন সময়ের গুণী সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম দিলদার।

১৯৮৪ সালে সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ভাবে অনুমোদন পায় যার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার – ঢ-০২০২৯, তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের মার্চ মাসে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সকল দায়দায়িত্ব ততকালীন জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজার এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়া, উক্ত ক্লাবের কর্মচারী ইউনিয়ন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জানে আলমের নিকট হস্থান্তর করেন ঢাকা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সাইফুল ইসলাম দিলদার। নারায়ঙ্গঞ্জে ভুয়া সাংবাদিক ও প্রতারক নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং নারায়ঙ্গঞ্জ বন্দর থানায় একটি মামলা হয় যার মামলা নং ৩৯,তাং ২৮/০১/২০২৪,ধারা নং-৪২০/৩৮৫/৩৮৬।

প্রতারক কাজী ফরিদ ঢাকা দক্ষিনের সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বর্তমানে যাত্রাবাড়ী, তৎকালীন ডেমরা থানাধীন ১৬৪ উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী হোল্ডিংয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে একটি ছাড়পত্র তৈরি করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও জালিয়াত বলে উক্ত বাড়ীর মালিক দাবী করেন।পরবর্তীতে ভুয়া প্রত্যায়ন পত্রের বিরুদ্ধে উল্লেখিত বাড়ীর মালিক বাংলাদেশ সরকারের তিনশত (৩০০/=) টকার স্ট্যাম্পে লিখিত আকারে নোটারী পাবলিক দলিল করে সংশ্লিষ্ট সকল অফিসে প্রেরন করেন।

বাড়ীর মালিকের সাথে কথা বলে যানা যায় কাজী ফরিদ আহমেদ একজন প্রতারক আর এই প্রতারণা করে যে ছাড়পত্রটি তৈরি করেছেন মূলত প্রতারক ফরিদের বানানো ছারপত্র সম্পূর্ণ ভিক্তিহীন ও জাল জালিয়াতি করে করা। প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে প্রতারক ফরিদ যেনো কোনো প্রকার জালিয়াতি ও বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে না পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান বাড়ি ওয়ালা।

এছাড়া ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্যা বানিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাৎ করার ব্যপারে তার ছিলো অতুলনীয় দক্ষতা। অসংখ্য লোকদের থেকে কাজী ফরিদ বিপুল পরিমান অর্থ আত্বসাত করে ভুয়া সাধারন সদস্যা, আজীবন সদস্যা পদে নিযুক্ত করার মাধ্যমে। অভিযুক্ত কাজী ফরিদ কে ঢাকা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ভবিষ্যৎ সে আর প্রতারণা করলে ক্লাবের পক্ষথেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন জানে আলম সাহেব সহ ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতাকর্মী ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।

এর পরেও কাজী ফরিদ কিছুদিন সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেও পুনরায় তার প্রতারণা শুরু করেছেন বলে ঢাকা প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির নিকট তথ্য আসলে প্রতারক ফরিদের নিকট তার বৈধতা জানতে চাইলে প্রতারক ফরিদ সাংবাদিকদের তার নিয়ন্ত্রিত শুধু মাত্র একটি ওয়েবসাইট দেখতে বলে দেন এবং সেখানে তার ক্লাবের সকল প্রমানাধি রয়েছে বলে দাবী করেন। এমনকি ঢাকা কপিরাইট অফিস হতে কপিরাইট সনদ নেয়া আছে বলে জানান।

এ ব্যপারটি জানতে পেরে ঢাকা প্রেসক্লাবের মুল পরিচালনাকারীরা এই সকল অপ-প্রচার বন্ধের জন্য ঢাকা কপিরাইট অফিসের অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাউদ মিয়া বরাবর মোঃ ওমর ফারুক (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক-ঢাকা প্রেসক্লাব) এই কপিরাইট সনদ প্রদানের কারন ও সনদটি বাতিলকরণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ঢাকা প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কপিরাইট অফিস থেকে সরকারী ডাকযোগে প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে ২৮শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে শুনানী করে এবং ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ কপিরাইট অফিস হতে কাজী ফরিদের জালিয়াতি করে বানানো কপিরাইট সনদ প্রদেয় CRA-27192 নং সনদটির কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় বাঙ্গলাদেশ সরকারের কপিরাইট অফিস।

কপি রাইট সনদ বাতিলের পরেও প্রতারক ফরিদ তার নিয়ন্ত্রীত ওয়েবসাইটটিতে সনদ শো করে তার প্রতা্রনার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধা। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের কপিরাইট পরীক্ষক ও তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দা নওরিন জাহান নিশা’র সাথে তার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উক্ত বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দা নওরিন জাহান নিশা সনদ স্থগিদের বিষয় নিশ্চিত করেন এবং সনদ স্থগিতের পরেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা তারা খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...