বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ থেকেঃ- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাব জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি প্রতারণা ও ধর্ষণের মত ঘৃন্য অপরাধ দমন করে ভুক্তভোগী নিরীহ জনসাধারণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব- ১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৬ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার মামলা নং- ০৭, তারিখ- ১৩/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (২৬)’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আলমগীর’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন রতনপুর এলাকায় বসবাসরত তার বন্ধু ও উক্ত মামলার ০৩ নং আসামী একই জেলার লাকসাম এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম (২৩) এর সাথে আত্মীয়তার সূত্র ধরে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। অতঃপর তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামী আলমগীর (২৬) এর সহায়তায় তার বন্ধু পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম’কে ১২ জুলাই ভিকটিমের বাসা থেকে বরুড়া থানাধীন ছোট কালিকাপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও তার বন্ধু তাদের অপর দুই সহযোগী উক্ত স্থানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও মকরম ভিকটিম’কে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান বরুড়া থানাধীন দূর্গাপুর কার্জন খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায় এবং আলমগীরের পরামর্শ অনুযায়ী ০৩ নং ও ০৪ নং আসামী সাক্ষী আনার জন্য চলে যায়। অতঃপর ভিকটিম’কে আলমগীর টর্চ লাইট দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক প্রথমে আলমগীর ও পরে উক্ত মামলার ০২ নং আসামী পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ধর্ষণকারী'রা ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে ভিকটিম’কে দূর্গাপুর পাকা রাস্তার উপর একা ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম উক্ত ঘটনা সম্পর্কে তার পরিবারকে জানায় এবং তাদের সাথে পরামর্শ করে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায় আলমগীরসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি জানতে পেয়ে আলমগীরসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায় এবং অদ্য ০৬ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকা হতে আলমগীর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার