সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় নতুন পৌরভবন নির্মাণ ছাড়া দৃশ্যমান আর কোনো কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। অপরিকল্পিত ড্রেন ও সড়ক নির্মাণের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন নাগরিকরা। আর সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাগরিকদের আছে নানা অভিযোগ।
১২.৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০০১ সালে গঠিত হয় খোকসা পৌরসভা। তবে তা কেবল নামেই। এরপর পেরিয়েছে বহুবছর। তবুও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পৌরবাসীর। কাগজ কলমে পৌরসভার তকমা থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। পৌরসভার ৯ টির মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডই নানা সমস্যায় জর্জরিত।
জলাবদ্ধতা, সরু রাস্তা, অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ আর যত্রতত্র ময়লা- আবর্জনার উৎকট দুর্গন্ধে নাকাল পৌরবাসী। সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই পৌর এলাকায়। এছাড়াও নেই সড়ক বাতি। পৌরসভার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অবস্থা বেহাল।
দীর্ঘদিন মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।ঘটছে দুর্ঘটনাও। তারপরও কোনো পদক্ষেপ নেই। রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে পরিনত হয়েছে বড় বড় গর্তের। দুর্ভোগের শেষ নেই পথচারীদেরও। আর এসবের জন্য আঙুল উঠেছে সাবেক মেয়র তারিকুল ইসলামের দিকে।
আল্লাদি খাতুন জানান, পৌরসভার টেক্স দেয়ার পরেও কোনো নাগরিক সুবিধা পাইনা। আবুল কালাম বলেন, নামেই পৌরসভা। ২৩ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পৌরবাসীর। রুহুল আমিন বলেন, ড্রেন নির্মাণের জন্য অনেক বার পৌর মেয়রের কাছে গেলেও কোন সুরাহা পাইনি। আবুল জলিল বলেন, ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না। অল্প বৃষ্টিতেই হাটু পানি হয়। দ্রুতই সমস্যা সমাধানের দাবি তার।
এবিষয়ে কথা বলতে নারাজ পৌর প্রশাসক রেশমা খাতুন। তবে আশার বাণী শুনালেন খোকসা পৌরসভার সহ-প্রকৌশলী মো: সুজন আলী। অল্প দিনের মধ্যেই সমস্য সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে পৌরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার