গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তারই ধারাবাহিকতায় ও সরকারের সকল ধরনের সহায়তা পেয়ে গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বেড়েছে দ্বিগুণ। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় উপজেলায় এবছর সূর্যমুখী চাষের আবাদ হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সূর্যমুখী একটি তৈলজাতীয় ফসল।
এর বৃদ্ধি ও রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় গলাচিপা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এবছর ২৫০ একর জমিতে সূর্য মুখীর বীজ, রাসায়নিক সার, আর্থিক প্রণোদনা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সহ বিভিন্ন রকম সহায়তা প্রদান করে আসছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। সরকার ভোজ্য তেল সংকট নিরসনে রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী প্লান্টের মাধ্যমে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের ব্যাপক সহায়তা করছে। এতে করে সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। কৃষি বিভাগের দেয়া বারি -৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে। রবি শস্য আবাদের পাশাপাশি উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে যুক্ত হচ্ছে সূর্যমুখী চাষে।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের গোড়াবালা এলাকার বাবুল হাওলাদার বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ, বিভিন্ন রাসায়নিক সার, আর্থিক প্রণোদনা সহ বিভিন্ন সময় আমাদের মাঠে এসে সুপরামর্শ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবছর ১ শত শতাংশে সূর্যমুখী বীজ চাষে চাষাবাদ ও কীটনাশক সহ খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা, যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তা হলে বিক্রি করতে পারবো ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া ও তাই পাশের আরেক কৃষক বাহাদুর হোসেন জানান, তিনি চাষ করেছেন ১০ শতাংশ জমিতে তার খরচ হবে ১ হাজার টাকা। তিনি বিক্রি করতে পারেন ১২- ১৫ হাজার টাকা।
এবিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, এবছর উপজেলায় ২৫০ একর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর। তবে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হয়েছে এবছর। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা এক ইঞ্চি জমি ও যেন অনাবাদি না থাকে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কৃষি বিভাগ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে। এবং রবিশস্য ছাড়াও বোরো ধান সহ সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি।
উপজেলায় সকল ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন বিভিন্নভাবে চাষিদের সুপরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে আচ্ছে। সূর্যমুখীর তেল শরীরের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে আমাদের সকলের এই ভোজ্যতেল ব্যবহার করা।এবং এর পাশাপাশি সরকারের তেল সংকট নিরসন হবে। এছাড়াও চাষিরা এই বীজ বিক্রি করতে কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন। কোন ভালো কোম্পানি মাঠ পর্যায়ে এসে এই সূর্যমুখী বীজ ক্রয় করে নিয়ে যাবে এতে করে চাষি আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হতে পারবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার