মোঃ বনি আমিনঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে ফার্নিচার নেওয়ার কথা বলে ট্রাক ড্রাইভার'কে বাসায় ডেকে শারীরিক নির্যাতনের পর নারী নির্যাতন মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত নারী প্রতারক শাবনাম আক্তার সুচনা ওরফে বিন্ধু (৩০) কে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শাক্তা ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের ইতালী প্রবাসী জনৈক সাবিনার একতলা বাড়ীর নিচতলা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় মামলার অপর চার আসামি চাকা সাইফুল (৩০), ফারুক (২৯), সজিব (২৯) ও শরীফ (২৮) পালিয়ে যায়। আটক ওই নারী দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কায়দায় পুরুষদের বাসায় ডেকে ব্লাক-মেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছিলো বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আমিন (৩৫) জানান, তার বাড়ি কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ মালিভিটা গ্রামে। গত সোমবার দিবাগত রাত অনুমান ০৩ টার সময় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা হতে ভাড়া বাড়ির ফার্নিচার নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে তার ট্রাক টি ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে কেরানীগঞ্জের মধ্যেরচরে নিয়ে আসে আসামিরা।
সেখান থেকে ট্রাকটি মেইন রোডে রেখে ১০০ মিটার সামনে গলি রাস্তা দিয়ে আসামীদের সাথে তার বাসার মালামাল আনার জন্য রুমে ঢুকার সাথে সাথে আসামী শাবনাম আক্তার সুচনা ভিতর থেকে ছিটকানি লাগিয়ে তাকে রুমের ভেতর আটকে ডাক চিৎকার করে লোকজন জড়ো করার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা ও মানিব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও লাইসেন্স সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে নেয়।
পরবর্তীত সুচনা রুমের ছিটকানি খুলিয়া দিলে সকল আসামী রুমের ভিতর ঢুকে এলোপাথারী কিলঘুষি, লাথি ও লোহার রড দিয়ে মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করার পাশাপাশি তাকে দিয়ে বাথরুম পরিস্কার করায় এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
পরে সে ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে গাড়ীর মহাজন আজাহার হোসেন এর নিকট হতে তাহার বিকাশ নাম্বারে ত্রিশ হাজার টাকা এনে দিলে দুপুরে তাকে ছাড়ে দেয় এবং দাবীর বাকি বিশ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য তার ট্রাক টি আটকে রাখে। পরে ৯৯৯ এ বিষয় টি পুলিশ কে জানানো হলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ইমরন এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল আরশিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামী শাবনাম আক্তার সুচনাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ ইমরান জানান, নারী গঠিত সম্পর্ক বলে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। এলাকাবাসী বলছেন তার বাসায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের যাতায়াত ছিলো। আমরা তদন্ত করে বিষয় টি দেখছি।
আটকের বিষয় টি নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার