বনি আমিন (ঢাকা) কেরানীগঞ্জঃ ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের বোরহানীবাগ এলাকায় পাঁচ পরিবারে সুখ কেড়ে নিয়েছেন বাড়ির সম্মুখে ৫/৭ ফুট দেয়াল।২০ বছর যাবৎ চলাচলের একমাত্র রাস্তা টি এখন রহস্য জনক ভাবে বন্ধ করে দেন স্থানীয় দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখানো ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুলের শশুর সামিউল্লাহ হাজী। মেয়ের জামাই'কে পুজি করে এই অমানবিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পাঁচ পরিবারের।
গত ২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাখা সড়ক থেকে প্রায় ২০ জন বাড়ির মালিক'রা রাস্তার জন্য উভয় পক্ষ থেকে আড়াই ফুট ছেড়ে পাঁচ ফুটের নির্মানের রাস্তা। রাস্তাটির পথ ধরে হেঁটে কিছুটা ভিতরে গেলে দেখা যায়, নতুন ইট দিয়ে নতুন করে গড়া ৫/৭ ফুট দেয়াল, মানে রাস্তা সমাপ্তি ঘটায়। এই দেয়ালে কারনে আটকে পরে পেছনের পাঁচ পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী'রা হলেন ১/ সোহাগ মিয়া, ২/ মোঃ আসিক, ৩/ দেলোয়ার হোসেন, ৪/ দুলাল ৫/ ফুজিয়া বেগম।বাড়ির যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তার মুখ ইটের দেয়ালে আটকে পরায় ভুক্তভোগী পরিবার'রা পাশের বাড়ির ওয়াল টপকে মানবেতের জীবনযাপন করছে বলে জানা যায়। শিশু থেকে মহিলা কেউ বাদ পরেনি পাশের বাড়ির ওয়াল টপকেতে। এতে পাশের বাড়ির মালিকেরাও বিরক্ত প্রকাশ করছে। কোন রকম আকুতিমিনুতি করে চলছে তাদের দৈনন্দিন জীবন। আটকে পড়া পরিবারের পক্ষে ফাতেমা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তারা সুয়ারেজ লাইন ও রাস্তার বাবদ শতাংশ প্রতি ১৩ হাজার টাকা করে ১৬০ টি পরিবার কাছ প্রায় দুই কোটি টাকা তুলে নেন সেই ছাত্রলীগ নেতা শিমুল।
রাস্তা সুয়ারেজ লাইন চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত রাস্তার অপর পাশের প্লটটি তার ভাতিজির কাছ থেকে ক্রয় করে ভয়ংকর হয়ে উঠেন শশুর সামিউল। অমানবিক কাজে লিপ্ত হয়ে প্রথমেই রাস্তা মুখ বন্ধ করে দেয়াল দিয়ে। স্বপ্ন দেখেন রাস্তার দেয়ালে আটকে পড়া মালিকদের জায়গা অল্প দামে কিনতে। রাস্তার অভাবে দিশাহারা হয়ে পড়া মালিক'রা তার কাছে বিক্রি ছাড়া কোন গতি থাকবে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, ২০ বছর যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল করে এসেছি।
এই রাস্তার জন্যই আমাদের বাড়ি এখানে নির্মান করেছি, প্রয়োজনে আমরা রাস্তার জন্য তাকে আমরা আরো টাকা দিবো। তবুও আমরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকতে চাই। এই বিষয়ে সাংবাদিক'রা জানতে চাইলে মুসলিম বাগ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা ছিলো, ওই রাস্তায় সুয়ারেজের কাজ ও সমাপ্ত হয়েছে। আমরা পঞ্চায়েত কমিটির লোকজন রাস্তার ব্যপারে একাধিক বার বলেছি তারা মানে না।
এদিকে রাস্তার উপর দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করেন সামিউল্লাহ হাজী তার ব্যবহারিত মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি জনান, যখন রাস্তা নির্মাণ করা হয় তখন আমি হজ্বে ছিলাম। আমার মেয়ের জামাতাকে দিয়ে রাস্তা ও সুয়ারেজ লাইন নির্মানণ কাজ করানো হয়েছে।তখন সে আমার জামাতা ছিলো না। অল্প কিছু দিন যাবৎ সে আমার জামাতা। আমি পাশের প্লটটি ক্রয় করেছি। এখন বুক চিঁড়ে রাস্তা দেওয়া যাবে না। তারা বিকল্প ব্যবস্থা করুক। তাদের রাস্তা দেওয়া আমার দায়িত্ব না।
কালিন্দী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি সামিউল্লাহ হাজীর জামাতা শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুয়ারেজের কাজ আমি করছি। তা আমার ইচ্ছে নয়। এলাকার লোকজন সবাই মিলে আমাকে দাযিত্বভার দিলে আমি তা পালন করি এতে আমার আরো বার লাখ টাকা ক্ষতি হয়। রাস্তার বিষয় তিনি আরো বলেন তারা কেউই বাড়ি করে রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়েনি, তাদের ব্যবহার অসন্তুষ্ট জনক। তারা আলাদা দাগের বাসিন্দা। তাদের জন্য এই রাস্তা প্রযোজ্য নয়।
এ বিষয়ে গত ২৮ শে জুন ২০২৪ ইং তারিখে ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেদিন রাতেই পাশের বাড়ীর দেয়াল টপকিয়ে চলাচল করতো সেটিও বন্ধ করে দেন তারা।স্থানীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল এখন অভিযোগ তুলে নিতে লোক মারফত হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। এই বিষয় ভুক্তভোগীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সু নজর কামনা করেন তদন্তের মাধ্যমে । পাঁচ পরিবার ফাতেমা বেগমের দুই সন্তান দেয়াল টপকিয়ে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যেতে হয় তাদের।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার