গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এলাকায় থাকতে দেখা সাক্ষাতের মাধ্যমে পরিচয়। তারপর ভালবাসা থেকে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে। দেড় বছরের অধিক সময়ের সংসারের জীবনে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়েছে একটি কন্যা সন্তান। এসব পেছনে ফেলে নিজের স্ত্রী ও কন্যা শিশু সন্তানকে অস্বীকার করছেন স্বামী সাফিউল্লাহ। স্ত্রীর ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে দুইদিন থেকে স্বামী সাফিউল্লার বাড়ীর সামনে অবস্থান করছেন স্ত্রী। সাফিউল্লার মাসহ আত্নীয় স্বজনরাও তাকে বাড়ীর থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগী নারী।এমন চাঞ্চল্য ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামে।
সাফিউল্লার ওই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। এর আগেও সাফিউল্লাহ এমন নারী ঘটিত একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। ওই নারীর বাড়ী পাশ্ববর্তী সাহাব্দিপুর গ্রামে। সাফিউল্লাহ ওই নারীকে অস্বীকার করলে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ হাজির হয়।
পরে থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক দেখা দেয়েছে। ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই নারী। এছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেন। ওই নারী অভিযোগ করেন, এলাকায় থাকতে আমাদের পরিচয়। পরে ঢাকায় গিয়ে আমরা মৌলভীদিয়ে কালেমা বিয়ে করে একসাথে বসবাস করতে থাকি। বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। সরল বিশ্বাস ও ভালোবাসায় আমরা ঘরসংসার করতে থাকি।
ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় আমার স্বামী তেল, গুড়া হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন জিনিনের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। সেই ব্যবসায় লোকসান হলে আমার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে গিয়ে দেয়। এছাড়াও আমার গয়নাগাটি বিক্রি করে তকে সহযোগিতা করি। পরে সে আরো টাকা পয়সার জন্য চাপ দিতো থাকবো। শুধু এখানেই শেষ না বিভিন্ন সময়ে সে খারাপ আচরণ করতো।
গত ৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা মারা গেলে সে বাসায় চলে আসে। আমার বাচ্চা হয় তার পরের দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে। সে আর ঢাকা না যাওয়াতে আমি গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমার স্বামী সাফিউল্লার বাড়ীতে আসি। সেই সময় সে বাড়ীতে ছিলো। পরে সে সটকে পরে। সে আমাকে বিয়ে করেছে ও সন্তান হয়েছে এটা সে অস্বীকার করে। পরে তার মাসহ আত্নীয়রা আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই।
নিরুপাই হয়ে গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ কে অবহিত করি। গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সব কিছু জানে। পুলিশ বলে বিয়ে করে থাকলে কাবিননামা সহ কাগজ পত্রাদি দেখাতে। আমার এইসব কাগজ না থাকায় পুলিশকে দেখাতে পারিনি। ঢাকায় বিয়ে হওয়াতে যে মৌলভীর কাছে বিয়ে করা হয়েছে সেখানে সব কিছু আছে ও সেই হুজুর সব বলবে। আমি কোন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি না। ঢাকার ৪ জায়গায় সে বাসাবাড়ী ভাড়া করে আমাকে নিয়ে থেকেছে এটা সবাই জানে।