শফিকুল ইসলাম শফিকঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন দড়িকান্দি এলাকায় সায়েদাবাদগামী সৌদিয়া পরিবহনের ধাক্কায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ০২ শিক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় পলাতক ঘাতক বাস চালক মোঃ সহিদুল ইসলাম (৪২) কে ফেনী সদর মহম্মদপুর এলাকা থেকে র্যাব-১১, সিপিএসসি কর্তৃক আটক।
গত ১৫ জুলাই ২০২২ তারিখ রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১০/১২ জন শিক্ষার্থী দুইটি প্রাইভেটকার যোগে নারায়ণগঞ্জ পানামসিটিতে আনন্দ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে সকাল আনুমানিক ১০.৪০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন দড়িকান্দি এলাকায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হওয়া।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের বহনকৃত একটি প্রাইভেটকারকে সায়েদাবাদগামী সৌদিয়া পরিবহন বাসের চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং প্রাইভেটকারে থাকা ০৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে প্রথমে আল বারাকা হাসপাতাল, মদনপুরে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতদের মধ্যে মোছাঃ সুমাইয়া রহমান মাহিমা (২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইব্রাহীম মাহমুদ রাহাত (২৭) হার্ট স্পেশালিষ্ট হসপিটাল, শ্যামলী, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। উক্ত দূর্ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর হাইওয়ে থানা কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় সড়ক ও পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৯ তারিখ ১৬/০৭/২০২২ইং।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘাতক বাস চালককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৯/০৭/২০২২ তারিখ ২১.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগরের একটি আভিযানিক দল র্যাব-৭ এর সহায়তায় ঘাতক বাস চালক মোঃ সহিদুল ইসলাম (৪২), পিতা- মোঃ ইমাম হোসেন, সাং- পশ্চিম হাসানদন্ডি উত্তরপাড়া, থানা- চন্দনাইস, জেলা- চট্টগ্রাম’কে ফেনী জেলার ফেনী সদর থানাধীন মহম্মদপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করে।#