বিশেষ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ৫১ নং ওয়ার্ড এর সাংগঠনিক সম্পাদক। কিন্তু ওয়ার্ড ছাড়িয়ে ঢাকার মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
নিজের অনুসারীদের নিয়ে গড়েন একটি শক্তিশালী ক্ষমতার কেন্দ্র। দলীয় কমিটি ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়নকাজের বড় কমিশন আদায় এবং জমি দখলের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৬ বছরে বেড়েছে তাঁর সম্পদ।
স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী মানুষ ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ঢাকা মহানগরে নিজে তার রাজত্ব তৈরি করে রেখেছিলেন।
প্রভাব খাটিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে কখনো নামমাত্র মূল্যে, আবার কখনো গায়ের জোরে সোহেল আহমেদ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জমি দখল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষও তাঁর কাছে জমি হারিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা মামলা করার সাহস পাননি।
সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি বলছে, ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান করলে সোহেলের নির্দেশে ও হুকুমে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরানোর জন্য এবং আন্দোলন দমানোর জন্য সোহেল এর নেতা কর্মীদের পরিকল্পনায় ও পরোক্ষ মদতে অজ্ঞাতনামা দুষ্কতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে ছাত্র জনতার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।
সোহেলের নেতা কর্মীরা আওয়ামীলীগ সরকারের মোল্লা সজল (সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-৫) ও এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম (সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা-৪) এদের সঙ্গে সোহেলের ছিলো গভীর সম্পর্ক।আন্দোলন দমানোর জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেন সোহেল তার নির্দেশে ও ছিল যাত্রাবাড়ী থানার জাসদ সভাপতি ও তাদের নেতা কর্মীদের পরিকল্পনাকারী এই সোহেল, বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্দোলন দমনে বলপ্রয়োগ করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, এলাকার তার অপরাধের রাজত্ব এবং আধিপত্য বিস্তার রয়েছে। স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরে ও এলাকায় চলাফেরা করছেন এই সোহেল। তাঁর বিরুদ্ধে এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু সময়ে দাবি। উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সোহেল এর মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দেওয়া হলে ও সে কল রিসিভ করেন নাই।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার