স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ মনির হোসেন: রাজধানীর জুরাইন এলাকায় চাঁদাবাজদের মদদে বিভিন্ন অলি গলিতে চলছে অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটো রিক্সা গত কয়েক বৎসর আগে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার বিরুদ্ধে মহামান্য হাই কোর্টে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে মামলা দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ স্থগিত ছিলো এবং ৬ মাস মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছিলো।
কিন্তু গত ১১ মাস আগে মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব ব্যাটারী চার্জ করতে বিদ্যুতের ব্যাপক শক্তি ব্যয় হতো ফলে কলকারখানা শিল্প প্রতিষ্ঠান সরকারী কার্যভবন, স্কুল কলেজ সহ বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং দেখা যেত এসব দূর্ভোগের কারনে প্রায় অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকিস্বরুপ ছিলো।
এসব দিক বিবেচনা করে মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটি সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা নিষিদ্ধ করে দেয়। এরই ফলস্বরূপ বর্তমান সরকার দেশের সর্বএ বিদ্যুৎ চাহিদা পুরন করে নাগরিক জীবনে শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
২০০১-২০০৬ সালে যেখানে উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ৩২৬৮ মেঘাওয়াট সেখানে ২০১৯ সালে উৎপাদন বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪০৭৭ মেঘাওয়াট এবং ৩ কোটি মানুষকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে ১১ টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৪২ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন এর সুবিধা ভোগ করছে সাধারণ জনগন।
সরকারের এসব সফলতাকে বানচাল করতে কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় মহামান্য হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক মাসোহারায় চাঁদাবাজরা নিয়ন্ত্রন করে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে চলছে অটো রিক্সাগুলো। এসব রিক্সা থেকে চলছে চাঁদাবাজদের রমরমা চাদাঁবাজি ব্যবসা।
অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজরা ভিন্ন ভিন্ন হাড়ে চাদাঁ সংগ্রহ করে নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে যেমন জুরাইন বিক্রমপুর প্লাজার মেইন রোড সামনে থেকে গাড়িপ্রতি দৈনিক ৩০ টাকা লাইন খরচ মাসিক চাঁদা ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। কদমতলী থানার এলাকায় চাদঁবাজ ও প্রশাসনের যোগসাজসে বিপুল পরিমান অটোরিকশা চলাচল করছে।
জুরাইন বিক্রমপুর প্লাজার পাসে হাজী খোরশেদ আলী সরকার রোডে চলছে প্রায় ২০০ টি অটোরিকশা প্রতিটি গাড়ি হতে মাসে ১৬৫০০/-টাকা করে চাঁদা সংগ্রহ করে শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা মোসাঃ ফারজানা আক্তার সাথী। প্রায় ২ শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করছে আর এসব নিয়ন্ত্রণ করে সাথী।
এ অটোরিক্সার চাদাঁবাজির কারনে মানুষের চলাচল ব্যাপক ব্যহত হচ্ছে, এ চাদাঁবাজি করে সাথী গড়েছে টাকার পাহাড় মধ্যমনি হয়েছে স্হানীয় নেতাও প্রশাসনের,পাওয়ার সেলের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিদিন একটি ইজিবাইক ব্যাটারী চার্জ করতে দশমিক ৯ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ মেঘাওয়াট বিদুৎ জাতীয় গ্রিডে হতে বায় হচ্ছে।
কদমতলী থানার ওসি বলেন অবৈধ অটো রিক্সার থেকে সাথীর চাঁদাবাজি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অটোরিক্সা চলাচলে মানছে না কোন ট্রাফিক আইন, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশকে ও যে ভাবে দিন দিন অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সার হার বাড়ছে তাতে আবারো সেই লোডসেডিং বিদ্যুৎ দূর্ভোগ সহ নাগরিক জীবনে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন ও শত শত মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ দৈনিক জাতীয় গ্রিড হতে ঘাটতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
চাদাঁবাজ, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ কোম্পানীর অসাধু কর্মকর্তাদের উৎকোষের জন্য নাগরিক জীবনের অতি জরুরী এবং জাতীয় সম্পদের এমন অপচয় যাতে না হয় সে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানায় এলাকাবাসী।#