অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের পর চতুর্থ রাষ্ট্রপ্রধান (সরকারপ্রধান)) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যকালে এটিই হবে ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর দ্রুততম সফর। সফর ঘিরে চলছে নানা বিশ্লেষণ। ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনা হতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সেটি আগেই জানিয়েছিল দিল্লি। বৃহস্পতিবারের ওয়াশিংটন-দিল্লি বৈঠকে এবার সত্যি হতে চলছে সেই গুঞ্জন। মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে অভিবাসন ইস্যুকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন দুই নেতা। ভারতীয়দের প্রত্যাবাসনে অমানবিক আচরণ বন্ধ করতে ট্রাম্পকে মানানোর চেষ্টা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।
বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কামার আঘা বলেন, ভারতীয়দের জন্য এইচ-ওয়ান ভিসার বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হবে। কারণ, অনেক বড় পরিসরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানও ভারত থেকে প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্ট জনবল চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে এই ভিসা বন্ধ করতে চাইলেও এখন তিনি নিজেই দক্ষ জনবল চাচ্ছেন।
বাণিজ্য ইস্যুতেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটিতে। এর আগে, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম জাত পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। যাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে। মনে করা হচ্ছে, শুল্ক মওকুফের বিষয়ে দাবি জানাতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও, প্রতিরক্ষাখাত সংক্রান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে দুই দেশ; হতে পারে এলএনজি সংক্রান্ত চুক্তি।
ভারতের সাবেক কূটনীতিক অনুরাগ ত্রিগুনায়াত বলেন, স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম আমাদের রফতানি করা দু’টি প্রধান পণ্য। তারা ইরানের চাবাহার বন্দরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যা মধ্য এশিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। একই সাথে এটি আফগানিস্তান এবং ভারতের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিশ্চিতরূপেই বলতে পারি এই বিষয়গুলোতে আলোচনা হতে পারে। তবে, সব ছাপিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠক সফল হবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার