নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ শতাংশই ডেন-২ জিনগত ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে। বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩ ধরন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে বলে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন হাসপাতালটির পরিচালক ও গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় দেখা যায়, ১১৩টি ডেঙ্গু পজেটিভ নমুনায় ৮৭ শতাংশ ডেন-২ এবং ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যে শিশুদের ভেতর ৮৭ শতাংশ ডেন-২ ধরনের উপস্থিতি দেখা গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৮ সালের ডেন-২ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি। এমনকি যে ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৭ সালের ডেন-৩ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি।
অনুষ্ঠানে গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গবেষণার অংশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে, যার ফলাফল হাতে পেলে আরও বেশি তথ্য আমরা উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।
২০২৩ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৩৯ জন ভর্তি শিশু রোগীর মধ্য থেকে ৭২২ জন শিশু রোগীকে রোগতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডেঙ্গু ভাইরাসের সেরোটাইপ নির্ধারণে এবং অন্যান্য ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণে ওই ৭২২ জন শিশু রোগী থেকে ১০৪ জন রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াব সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। একইসঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ছিল কিন্তু এনএস-১ অথবা আইজিএম পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি এমন ৫০ জন ভর্তি রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াবও সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।