স্টাফ রিপোর্টারঃ ভুক্তভোগী মিনহাজ বলেন,চট্টগ্রামের একটি অনলাইন সরকার অনিবন্ধন ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থের বিনিময় নিজ দলের লোকের মনগড়া বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে চড়িয়ে দেয় একজন সাংবাদিক নাম ধারী জুনায়েদ হাসান (৩২) নামে এক লোক। মাসের শুরুতে জুনায়েদ হাসান আমার সাথে মুটোফোনে কথা বলে তখন সেই আমার সাথে সরাসরি দেখা করে, সে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটা বিচারাধীন মামলা নিয়ে আমার সাথে কথা বলে,তারপর বলে আমার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে আমি বল্লাম প্রমান থাকলে দেখান মুখের কোন কথা চলবে না, তারপর বলে তুমি কিশোর গ্যাং আমি বল্লাম আমি কেমনে কিশোর গ্যাং হবো আমাকে বুঝায় বলেন, জুনায়েদ হাসান বলে তোমার অনেক ছেলে পেলে আছে তারা বিভিন্ন খারাপ কাজ করে আমি বল্লাম তার কোন প্রমান আছে সেই বলে না অভিযোগ করছে, এই রকম সরাসরি কথা বলে জুনায়েদ হাসান আমাকে বলে তোমার নামে এখন নিউজ হবে তোমার সাংবাদিকতার কার্ড বাতিল হবে তোমার অনেক ক্ষতি হবে তোমাকে আমি পুলিশের হাতে তুলে দিবো আমার সাথে পুলিশ, ডিবির অফিসারের সাথে ভালো সম্পর্ক ও আমার ভাই ডিবির সিনিয়র অফিসার, এসব বলে আমাকে হুমকি দিতে থাকে আমাকে, আমি পকেট থেকে মোবাইল বাহির করতে চাইলে আমাকে বাধা দেই, জুনায়েদ হাসানের সাথে লম্বা কালো সুকনা আরেক জন ছিলো আমার ঠিক নাম মনে নাই তবে দেখলে চিনবো।
পরে জুনায়েদ হাসান আমাকে বলে তোমার ক্যারিয়ার এখন আমার হাতে তুমি আমাকে এখন কি দিতে পারবা বলো এই বলে জুনায়েদ হাসান আমার থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আমি জুনায়েদ হাসান কে বলি আমার পক্ষে এতো টাকা কখনো সম্ভব না আমি সন্ধ্যায় আব্বুর দোকানে বসি নিজের খরচ চালানোর জন্য ৪টা টিউশনি করি, এই বলে চলে আসতে চাইলে আমাকে বলে এই ব্যাপার কাউকে বল্লে তোমার ক্ষতি হবে তোমাকে টাকার ব্যাপারে ২ দিন সময় দিলাম তোমার নিউজ রেডি করে রাখছি চ্যানেল চট্রলা টিভিতে দেখাবে, পরে আমি বলি নিউজ করে দিয়েন কোন সমস্যা নেই আমি সৎপথে আছি আমি চাঁদাবাজি করি তারপ্রমান সহ নিউজ করবেন এটা বলে আমি স্থান ত্যাগ করি। ৬ জুন চট্টলা টিভিতে জুনায়েদ হাসান, নিউজের মধ্যে ৫ জন ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরে তারা একটি গ্যাং যাদের বিরুদ্ধে নারী শিশু মাদক মারামারি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে আরেকটি মজার বিষয় ৫ জনের মধ্যে ৩ জন একি ঘটনার একটি মারামারি মামলার আসামি। নিউজে বক্তব্য দেওয়া প্রথম জন গিয়াস উদ্দীন বলে সেই তাদের লিডার থেকে ৫০ হাজার টাকা পাবে আমার ব্যাপারে মিথ্যা বক্তব্য না দিলে টাকা দিবে না থাকে ও মাহমুদুর রহমান হিরোকে জোর করে ক্যামেরায় সামনে পাটিয়ে মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরে। তার রেকডিং প্রমান রয়েছে। জুনায়েদ হাসানের বন্ধু বলেন, এইভাবে করে একি দলের ৫ জন ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে কিভাবে নিউজ হয়?? জুনায়েদ হাসান নিজেকে চট্টগ্রামের বড় সাংবাদিক নেতা বলে দাপিয়ে বেডায়, আরেক জন ভুক্তভোগী বউবাজারের ১৯ নং ্ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবু মোরশেদ বলেন, জুনায়েদ হাসান সত্য মিথ্যা যাচাই না করে মনগড়া নিউজ করে চট্টলা টিভি নামক ইউটিউব চ্যানেলে। নিজেকে বড় সাংবাদিক বলে ব্লাকমেইল করে প্রশাসনের ভয় দেখায় মহিলাদিয়ে নানা ধরনের হুমকি বার্তা দেয়। তার ভাই ডিবি অফিসার বলে এই ভাবে সাধারন মানুষকে হয়রানি করা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের কারনে ভালো সাংবাদিকদের উপর আস্তা কমে যাচ্ছে চট্রগ্রামের মানুষের। আরেক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে না করার শর্তে তিনি আমার কাছে আসেন, তার সাথে আরো কয়েকজন ছিলো, সিএনজি স্টেশন থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে গিয়ে নিউজ না করবে বলে নিউজ করে দেই পরে তার কাছে আরো টাকা দাবি করে করে।
আরফাত নামে একজন টং দোকানদার বলে তাকে আমি চিনি চিনতাম না পরিচয় দেওয়ার পর চিনি তিনি নাকি চট্টগ্রামের বড় সাংবাদিক এটা বলে আমার দোকানে আসে কথা বলে এবং থাকে সম্মানি দিতে হবে বলে প্রস্তাব দেই সেইটিতে আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে ভয় দেখায় মামলার আমি একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মকরে পরিবাবের পাশে থাকার চেস্টা করি এটি বলাতে আমার উপর রেগে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকি দেয়, তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি করায় লোকজনের ভীড় হওয়াতে সেই স্থানটা ছেড়ে চলে আসে জুনায়েদ হাসান, জুনায়েদ হাসানের কাজ হলো সম্মানি ব্যক্তিদের হয়রানি করা ও তার চট্টলা টিভিতে নিউজ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থের প্রস্তাব প্রধান করাই তার কাজ। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের রাজনৈতিবিদ ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল আলম নোবেল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ তুলে ধরে চট্টলা টিভিতে পরে আবার সত্য মিথ্যা যাচাই করে সেইটি আবার নোবের এর পক্ষ হয়ে নিউজ তুলে ধরে চট্টলা টিভির জুনায়েদ হাসান। টাকা হলে সব করতে পারে। টাকা হলে সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে নিউজ করা তার জন্য খুবেই সহজ। বউবাজারের যুবলীগ নেতা আবু মোরশেদ এর বিরুদ্ধে নিউজ করে জুনায়েদ, সেই ঘটনা নিয়ে পুরা বাকলিয়াতে তুলকালাম চলে তার কর্মী এবং সহযোন্ধারা বলে চট্টলা টিভির জুনায়েদ ভরাপুকুর পারে থাকতো তিনি চট্টলা টিভির পরিচয় দিয়ে চলে সবার কাছে ,তার কাছে সত্য মিথ্যার কোন প্রমান লাগে না নিউজ করে দিবে সেই, তারপর টাকা দাবী করে এমন সাক্ষী পুরা চট্টলা বাসীর মধ্যে গোপনে তদন্ত করলেই পাওয়া যাবে, সাধারণ জনগণ বলে জুনায়েদ হাসানের মতো ভুয়া সাংবাদিকের কারনে সাধারন মানুষ সহ না প্রেশার মানুষকে হয়রানি করে।
আরেক ভোক্তভোগী বাকলিয়া শহীদ এনএমএমজে কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি মোহাম্মদ আজমীর বলেন, জুনায়েদ কাজ হচ্ছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের টার্গেট করা এবং বিষেশ করে আলহাজ এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর পরিবারের সাথে যারা রাজনৈতিকে জড়িত শিক্ষা উপ- মস্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চেীধুরী নওফেল এর রাজনৈতিক করে তাদের উপর টার্গেট করে মিথ্যাচার করে নিউজ সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যুবলীগ নেতা মোরশেদ বলেন, জুনায়েদ হাসান বিভিন্ন ভাবে তাদের নেতা কর্মীদের হয়রানি করে থাকে, তাদের নামে ভুয়া নিউজ করে দিবে বলে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে হয়রানি করে থাকে। তিনি বলেন, জুনায়েদ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর অনুসারীদের টার্গেট করে, মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে থাকে (চট্টলা টিভি) নামে অবৈধ ইউটিউব চ্যানেল এ। আরো বলেন, জুনায়েদ হাসান একজন চাঁদাবাজ।
সরকারের আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে ”চট্টলা টিভি” চালিয়ে যাচ্ছে। যার কোন অনুমোদন নেই, তারা কোন ভাবেই সাংবাদিক দাবি করতে পারে না বললেন বসকো“র নেতা সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সাল হাওলাদার। তিনি বলেন, তারা তো অবৈধ চ্যানেল চালায় তাহলে তারাও অবৈধ ? তথা কথিত ”চট্টলা টিভি” বন্ধ ও আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে মাননীয় তথ্য মন্ত্রীর বরাবর আবেদন করেন একজন ব্যাক্তি। তিনি গতকাল সচিবালয়ে হাজির হয়ে এ আবেদন করেন। আবেদন রিসিভ করেছেন। অভিযুক্ত জুনায়েদ হাসান ও চট্টলা টিভি মালিকের বক্তব্য জানতে বার বার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এড.শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, ”চট্টলা টিভি” হলো অবৈধ। আমার মোয়াক্কেল তথ্য মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরকারের পক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করলে উচ্চ আদালতের নজরে আনা হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার