তানোর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে এক ওএমএসএর ডিলারের বিরুদ্ধে চাল পাচার করে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে দেশের এমন দূর্দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অল্পমূল্য ওএমএসএর চাল উপকার ভোগীদের মাঝে বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রি করার ঘটনায় চাপাক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে।
জানা গেছে, চলতি মাসের (১ এপ্রিল) শনিবার দুপুরে গোল্লাপাড়া খাদ্য গোডাউন থেকে ৪ টন চাল বের করে অটো গাড়িতে করে মোহনপুর উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার বুরুজ ব্রীজের কাছে চাল গুলো আটক করেন জনগণ। এসময় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারটি অটো গাড়িতে চালের বস্তা সাজানো রয়েছে।
এসময় চাল গুলো বহনকারী গাড়ি চালকদের কাছে চাল গুলো কোথায় থেকে আসছিলো আর কোথায় যাচ্ছে জানতে চাওয়া হলে গাড়ি চালকরা বলেন, এসব ওএমএসএর ডিলার সুনিল দাসের চাল,গোল্লাপাড়া খাদ্য গোডাউন থেকে মোহনপুর বাচ্চু নামের এক চাতাল ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে। এর বাহিরে তারা কিছু জানেন না।
তবে উপস্থিত জনগণের দাবি, চাল গুলো কোন বিশেষ বরাদ্দ কাবিটা প্রকল্পের না, চাল গুলো ওএমএসএর যা ডিলার সুনিল মোহনপুর উপজেলায় পাচার করে বিক্রি করছে। তানোর থানার মোড়ের ওএমএসএর চাল ডিলার সুনিল দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব ওএমএসএর চাল না, এগুলো এমপি বিশেষ বরাদ্দের কাবিটা প্রকল্পের চাল। প্রকল্প সভাপতির কাছে থেকে ডিও কিনেছি আমি।
ওএমএসএর চাল না হলে বস্তায় 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ' লেখা কেন আর কাবিটা প্রকল্পের যদি চাল হয়ে থাকে তাহলে বস্তায় বিশেষ বরাদ্দ কাবিটা লেখা ছিল মারা নাই কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,তানোর গোডাউনে এসব নিয়ম কানুন লাগেনা।
এবিষয়ে তানোর খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা ওসিএলএসডি অহেদুজ্জামানের ফোনে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, এবিষয়ে তার জানা নেই, যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার