তানোর প্রতিনিধিঃ জন্মদাতা পিতা নিজের সন্তানকে দেখতে চাইলে জামাইয়ের উপরে চড়াও হয়ে হামলা চালিয়েছেন শশুর বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় দফায় দফায় তানোর থানার মোড়ে জামাই শশুরের হামলা পাল্টা হামলা করারও ঘটনা ঘটে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, তানোর থানার মোড়ে ওয়াল্টন শোরুমের সামনে। এঘটনায় জামাই শশুর কেউ আহত হয়নি।
তবে আবারো সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। জানা গেছে, তানোর পাড়া গ্রামের আলহাজ্ব কছিমুদ্দিন সরকারের একমাত্র মেয়ের সাথে পৌর এলাকার আমশো গ্রামের প্রভাষক লুৎফর রহমানের ছেলে ফায়সাল সরকার অমির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পালিয়ে বিয়ে হয়। এ অবস্থায় তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু দীর্ঘ ৫বছর পার হয়ে গেলেও মেয়ের পিতা এই বিয়ে মেনে না নিয়ে জোর করে মেয়েকে দিয়ে স্বামীকে তালাক করান। এতে করে ফায়সাল সরকার অমি তার সন্তানকে একনজর দেখার জন্য শশুর বাড়ির উদ্দেশ্য যান। এসময় সন্তান শশুরের বাড়ি তো দূরের কথা থানার মোড় পার হতে পারেনি ফায়সাল সরকার অমি। কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছনে থেকে শশুর কছিমুদ্দিনের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জামাই ফায়সাল সরকারের উপরে হামলা করেন শশুর কছিমুদ্দিন সরকার।
এসময় শশুরের এমন জঘন্য কান্ডে জামাইয়ের উপরে হামলা করা দেখে উপস্থিত জনগণ দৌড়ে গিয়ে মারামারি থামান। কিন্তু শশুর কছিমুদ্দিন সরকারকে কিছুতেই থামাতে পারছেনা জনগণ। জনগণকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আবারও জামাইয়ের উপরে হামলা চালায় শশুর কছিমুদ্দিন সরকার। অন্যদিকে জামাই শশুরের এমন মারামারির ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকের উপরেও চড়াও হন শশুর কছিমুদ্দিন ও তার ভাই বিএনপি নেতা শমসের আলীসহ অন্য ভাইয়েরা।
এবিষয়ে জামাই ফায়সাল সরকার অমি জানান, শশুর কছিমুদ্দিন সরকারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের বিয়ে হয়। এবং তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানও জন্মগ্রহণ করে। তার পরেও এবিয়ে মেনে না নিয়ে মেয়েকে দিয়ে জোর করে তালাক করান শশুর কছিমুদ্দিন সরকার। এতে আমি আমার সন্তান কে দেখতে শশুর বাড়ির উদ্দেশ্য যায়।
কিন্তু থানার মোড়ে ওয়াল্টন শোরুমের সামনে যেতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা শশুর কছিমুদ্দিন ও তার ভাই শমসের আলী কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই পিছনে থেকে আমার উপরে হামলা চালায়। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে হয়তো আমাকে মেরেই ফেলতো আমার শশুর ও তার ভাইয়েরা। তালাক হয়েছে বলে কি আমি আমার সন্তানকে দেখতে পাবো না, এটা কেমন আইন। বিষয়টি নিয়ে ফায়সাল সরকার অমির শশুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার