শাহিনুর রহমান, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মকান্ড নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিশালে টক অব উপজেলা। চলতি সপ্তাহে স্থানীয় এমপি আলহাজ রুহুল আমীন মাদানী তার ফেসবুক নিজের ওয়ালে স্টেটাসের পর দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অফিস আদালত হোটেল রেস্তারা রাজনৈতিক অঙ্গন সর্বত্র।
বলাবলি হচ্ছে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে আবুল কালাম শামছুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ইকবাল হোসেন নির্বাচিত হন। হাইকমান্ডের শর্তের প্রেক্ষিতে ৭ মাস পূর্বে কমিটি হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনে নানা তালবাহানা , প্রভাব বিস্তার, উপজেলা ইউনিয়ন বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা- কর্মীদের বিভ্রান্ত করা ছাড়াও নানান বিষয় উঠে আসছে আলোচনায় তাদের নিয়ে।
তাদের দলীয় পদ পদবীর প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের ছবি সম্বলিত প্রচার পত্র আগামী নির্বাচনে নিজেরা এমপি হবেন এখন থেকেই কাজ শুরু করার প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। আওয়ামীগের সভাপতি কালাম বলে বেড়াচ্ছেন, আমাদের ছবি সংযুক্ত না করে দলীয় কোন নেতার পোস্টার বিলবোর্ড পেনা ব্যবহার করা যাবেনা । আমাদের ছবি থাকতে হবে । কাউকে ভয়ভীতি হুমকি আবার কাউকে এমপি হলে নানা সুবিধা দেয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছেন।
স্থানীয় এমপি তার স্টেটাসে লিখেছেন, নানান ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে কিছু কথাঃ ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার পর দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখে নি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল সম্মেলনের পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হলে উপজেলা কমিটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন “ঘোষণা সিস্টেমে” শুরু হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় সম্মেলনের জন্য কাউন্সিলর তালিকা করা ছাড়া, কাউন্সিলর দের মতামত কে উপেক্ষা করে ঘোষনা দিয়ে ইউনিয়ন বা পৌরসভা কমিটি করা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী যা তৃণমূল কখনো মেনে নিবে না।
বলা হয় যে, কেন্দ্রীয় নির্দেশে এসব করা হচ্ছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ভাইয়ের সাথে ফোনে আলাপ করে জানা যায় উনি এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না এবং কোন নির্দেশই দেন নি!ফোনে কথা বলার সময় গণ্যমান্য সাক্ষী গন উপস্থিত ছিলেন।
যেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় নাই অচল অবস্থা বিরাজমান, সে অবস্থায় যদি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়, তাহলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে (যে কেউ মনোনয়ন পাবে) কি অবস্থা হবে? আমার সুস্পষ্ট মতামত, প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি করে পরবর্তী তে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা।
গঠনতন্ত্র মোতাবেক কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে বা প্রত্যক্ষ ভোটে তৃণমূল থেকে সম্মেলন না করে আসলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পরবে ও কমিটিও বিতর্কিত হবে। গঠনতন্ত্রের বাইরে কমিটি করলে তা পকেট কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।