রবিউল হাসান ডব্লিউ, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে রসিদ ছাড়া এইচএসসি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ১২শ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ থেকে ১২শ ১৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্রের জন্য রসিদ ছাড়া ১২শ টাকা করে আদায় করছেন।
চলিত বছরের ওই কলেজের পরীক্ষার্থী মো.মোহাম্মদ বাইজিদ বলেন, আমি সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার কলেজের- ২৩ ব্যাচের একজন পরীক্ষার্থী। আমরা যারা দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় আছি আমরা প্রায় সকলেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমাদের আগের বছরের পরীক্ষার্থী ভাই ও বোনেদের সাথে কি হয়েছে তা ঠিক বলতে পারবো না, সে বিষয়ে অবগত নেই কিন্তু আমাদের ২৩ ব্যাচের সাথে অর্থনৈতিক ভাবে ঘটে যাওয়া কিছু কিছু ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারতেছি না।এই কলেজের আমরা প্রায় ছাত্রছাত্রী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাড়তি টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করেছি এবং বাড়তি টাকা দিয়ে যদি এখন প্রবেশ নিতে হয়, এই মুহূর্তে আমাদের অনেকের পারিবারিক ভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটে পড়ব।
আর এক পরীক্ষার্থী মোঃ ইমরান বলেন, আমরা ব্যবহারিক পরীক্ষা- টেস্ট পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে আমাদেরকে অবগত করা হলো ব্যবহারিক খাতা লিখে উপস্থাপন করার কথা। আমরা শিক্ষকদের আদেশ অনুযায়ী আমরা তিনটি ব্যবহারিক খাতা মোট ২২০ টাকায় ক্রয় করি এবং খুব শুনিপুনভাবে উপস্থাপন করে যখন খাতা জমা দিতে যাই তখন আমাদের কাছে প্রতিটা খাতার জন্য ২০০ টাকা করে দাবি করা হয়, তিনটা খাতার জন্য মোট ৬০০ টাকা দাবি করেন তারা। অবশ্য এ বিষয়ে প্রশ্নও তুলেছিলাম। কিন্তু স্পষ্ট কোনো উত্তর পাইনি, আমরা তাদের কথা মেনে নিয়ে ৬০০ টাকা দিয়ে খাতা জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
খাতা জমা দেওয়ার পরে মাত্র ৩০-৪০ সেকেন্ডে তাদের পর্যবেক্ষণ করা শেষ, সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো এই বিষয়টা, রাত ০২:৩০ পর্যন্ত জেগেও ব্যবহারিক খাতা লিখেছি আমি এমনকি ই ব্যবহারিক খাতা উপস্থাপন করতে গিয়ে আমার জ্বর পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল, অথচ তারা একটা লাইন পরেও দেখলেন না কি লিখেছে শিক্ষার্থীরা। এর মানে তাদের মেইন ফোকাস'টা ছিলো টাকায়, কে কি লিখলো সেটা দেখার প্রয়োজন নেই তাদের। আমরা এই দুর্নীতির শেষ এবং অমানবিকতার যথাযথ সমাধান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়া ও দেখা গেছে অনেক ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছেন।
অভিযোগের বিষয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা কলেজের বেতন দেননা। তাই সেই টাকা প্রবেশপত্রের মাধ্যমে রাখা হয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার