ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর ধামইরহাটে আপন ভগ্নিপতির পশু কুড়ালের আঘাতে গুরুত্বর জখম হয়েছে রেজুয়ান হোসেন। মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী। শুক্রবার সকালে উপজেলার কমলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জখমীর বাবা খেলনা ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জানান, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে রেজুয়ান হোসেন (৩০) তাদের নিজস্ব কলাবাগানে পরিচর্যা করছিল।
এ সময় পারিবারিক কলহের জেরে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী চকহাড়া গ্রামের মোজাফফর রহমানের ছেলে ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান মুকুল (৩৫) সহ ৪/৫ জনের দেশীয় অস্ত্রধারী বাহিনী রেজুয়ানের উপর অতর্কিত হামলা করে, এ সময় তার মাথায় পশু কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ী আঘাত করে ভগ্নিপতি মুকুল।
হামলাকালে সাথে থাকা কালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মোজাফফর রেজুয়ানকে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরী আঘাত করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীর পিতা আব্দুল খালেক। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধামইরহাট হাসপাতালে ভর্তিকরা হলে মাথায় একাধিক সেলাই নিয়ে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষনে রয়েছেন জখমী রেজুয়ান হোসেন। এই ঘটনায় পিতা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মুকুল (০১৭১৮-৮৪৪৪৩৫) মুঠোফোনে জানান, গত কয়দিন আগে আমি শশুর বাড়ী গিয়ে অপমানের শিকার হয়েছি, তাই আজকে আমার সমন্ধির সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তবে আঘাত করিনি, পড়ে গিয়ে কেটে গেছে বলে কৌশলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্ন। ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক কাজী জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর পূর্বে হামলাকারী মেহেদী হাসান মুকুলের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের মেয়ে মেফতাহুন জান্নাতের বিয়ে হলে শুরু হয় যৌতুক ও নানাবিধ অমানুষিক নির্যাতন। স্বামী মেহেদী হাসান মুকুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি যদি যে৬-৭ যাবৎ মেয়েকে নিজ বাড়ীতে রেখেছেন পিতা আব্দুল খালেক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।#