আফ্রিকার দেশ নাইজারে সেনা উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা নাইজারে মোতায়েন করা সেনা অদল-বদলের কাজ শুরু করেছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা দেশটিতে মোতায়েন করা সেনার সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনবে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পলিটিকো এ তথ্য দিয়েছে। পেন্টাগনের অন্যতম মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের জানান, নাইজারের রাজধানী নিয়ামির বিমানবন্দরে যেসব সেনা মোতায়েন ছিল তাদের এরই মধ্যে আগাদেজের একটি ছোট ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘাঁটি রাজধানী নিয়ামি থেকে ৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
নাইজারে সেনা উপস্থিতি কমানোর অংশ হিসেবে দেশটিতে সেনা সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আনা হবে। এই তথ্য মার্কিন কর্মকর্তারাই পলিটিকোকে নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেন্টাগনের ওপর নির্ভর করবে। উগ্রবাদবিরোধী লড়াইয়ের জন্য তারা কত সেনা নাইজারে রাখতে চায়, সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেনা সংখ্যা কমানো হবে।
নাইজারের সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশের জনগণ ফরাসি সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে রাজধানী নিয়ামির একটি ঘাঁটির কাছে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। নাইজারের জনগণ হুমকি দিয়েছেন যে, যদি দ্রুত ফ্রান্সের সেনা না সরানো হয়, তাহলে ফরাসি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে।
এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফরাসি সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে নাইজারের জনগণের হুমকি বিবেচনায় রেখে আমেরিকার সেনা সরানো হচ্ছে। সূত্র : সিএনএন ও পলিটিকো।