নিজস্ব প্রতিবেদক : পারিবারিক বিরোধপূর্ণ মার্কেট লিখে নিতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ করিম বাবু ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। ওই নারী ভয়ভীতি দেখিয়ে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে কাউন্সিলর বাবু ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিচার চেয়ে গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ সদরদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর করিম বাবু নারায়নগঞ্জের বঙ্গবন্ধু ডিআইটি সড়কে রিয়াজ সুপার মার্কেটে মালিক রিয়াজ চৌধুরী। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে সেই জমির মালিক হন তার দুই ছেলে রাজু, সাজু ও তার মা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, জায়গা লিখে না নিতে পেরে মরিয়া হয়ে উঠে কাউন্সিলর বাবু ও তার ছেলে রিয়েন। একের পর এক মামলা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বাবুর কু-নজর পড়ে তার উপর। আনুমানিক দুই মাস পূর্বে তার বাসায় ডাকে এবং তার বাসায় ঢোকার প্রথমে পিস্তল দেখিয়ে আমাকে নগ্ন করে তার মোবাইল দিয়ে আমার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে, পরবর্তীতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আমাকে জানায় এই বিষয় যদি আমি কাউকে এ বিষয়ে বলি তাহলে আমার নগ্ন ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিবে এবং আমার সন্তানকে হত্যা করবে।এই হুমকি দিয়ে আমাকে চলে যেতে বলে।
পরবর্তীতে আনুমানিক ১৫ দিন পর কাউন্সিলর বাবুর ছেলে রায়হান করিম রিয়েন হোয়াটস অ্যাপে আমাকে ফোন দিয়ে তার পরিচয় দিয়ে আমাকে তার সাথে দেখা করতে বলে। মানা করলে ফোন কেটে দিয়ে তার বাবার ধারণকৃত সেই নগ্ন ভিডিওটি পাঠিয়ে আবার কল দিয়ে আমাকে জানায় বাবার ফোন থেকে আমি ভিডিওটি পেয়েছি। আমার সাথে দেখা কর, নাহলে আমি ভিডিওটি ছড়িয়ে দেব। পরে দেখা করলে ঢাকার গুলশানে হোটেল আমারিতে নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি আমরা খতিয়ে দেখছি। শীঘ্রই নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার