নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত করেন ও সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করেন তবে সাংবাদিকের ফোনে থাকা অনেক সংবাদের তথ্য ডিলেট করেন, ফোন না দেওয়াতে সাংবাদিকের উপরে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের এর বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সংগঠনটি।
জানা যায় যে গত ১১ মে ২০২৩ তারিখ বিকেল ০৫.৩০ মিনিট এর সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সশীদল, বাদলা বাজার এর অবৈধ ভাবে পাহাড়ের গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে, ট্রাক দিয়ে গাছ গুলি নিয়ে যাওয়ার তথ্যের ভিক্তিতে যাত্রাপথে ট্রাকটিকে ইসারা করে থামানো হয়। সংবাদের তথ্য জানার জন্যে জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে ট্রাক ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা বাদে সেও বলেন যে গাছ গুলি পাহাড় থেকে কেটে সো”মিলে নিয়ে যাওয়া হয়চ্ছে বিক্রির জন্যে।
তখন সো”মিল এর মালিককে কল দিলে সে জানান আমি গাছ কিনেছি রবিন নামক এক কন্ট্রেক্টর এর কাছ থেকে তখন রবিনিকে 01754953838 উক্ত নাম্বারে ফোন করলে রবিনের পাহাড়ের নিজস্ব সম্পতি দলিল আছে আর ঐ জায়গায় তার বাগান আছে বলে দাবী করেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে রবিনের সাথে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে ১০ নং বারেক ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বেলাল এর দাবী করেন।
তখন সাথে সাথে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি”কে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয় ও যাদি গাছ গুলি অবৈধ ভাবে কাটা হয়ে থাকে তাহলে রাস্ট্রিয় সম্পদ রক্ষার্থে গাছ গুলি ছেড়ে দিলে কিংবা এই গুলি রেখে ঘটনারস্থল পরিদর্শন করতে গেলে গাছের ট্রাক্টরটি পালিয়ে গেলে এভিডান্স গায়েব হবে ও অবৈধ হলে অপরাধীদেরকে আইনের আওতাধীনে আনা যাবেনা। তখন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি থানা থেকে ফোর্স পাঠাচ্ছেন বলেন। তার কিছু সময় পর উকিল পরিচয় দিয়ে একজন লোক ফোন দেয় আর বলে কোন আইনে ট্রাক আটকানো হয়েছে জানতে চাইলে সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার তথ্য অধিকার আইনে রাস্ট্রিয় সম্পদ রক্ষার প্রতিটি নাগরিক জানার অধিকার রয়েছে ও বিশেষ করে সাংবাদিকদের অগ্রধিকার রয়েছে বললে উকিল মহোদয় বিষয়টি বুঝতে পেরে ঠিক আছে বলে ফোন রেখেদেন।
এছাড়াও এম্ন আরও অনেকে একাধিক নাম্বার থেকে ফোন করে উক্ত গাছ গুলিকে ও জমির মালিক বলে দাবী করেন ! এক পর্যায়ে বিল্লাহ চেয়ারম্যান এর জায়গা গাছ গুলি বিক্রি করেছেন বলে পুলিশের কাছে শিকার করেন তবে কোন এগ্রিমেন্ট ছাড়াই। পুলিশ আসতে বিলম্ব করার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুযোগে গাছেড় মালিক দাবীদার রবিন ট্রাক্টর এর কাছে ৮/১০ জন গুণ্ডা বাহিনী পাঠান উপজেলা চেয়ারম্যান এর গাড়ির ড্রাইভার এর হুকুমে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাহের সাহেব এর ড্রাইভার যে চেয়ারম্যান এর ক্ষমতা রাখেন তা জানা ছিল না তবে এই বিষয়ে পুলিশ এর কাছে শিকারও করেছেন গুণ্ডা বাহিনীর প্রধান মামুন)। গুণ্ডা বাহিনীদেরকে মোঠু ফোনে চেয়াম্যান এর ড্রাইভার হুকুম দিতে শুনা যায় যে সব সাংবাদিকদের কে তাদের গাড়িসহ বেধে রাখারতে । পরে মামুন নামের গুণ্ডা বাহিনীদের প্রধান সাংবাদিকদেরকে বলেন আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পাঠিয়েছেন এখানে সময় নষ্ট করে লাভ নেই পুলিশ আসবেনা আপনারা বুঝেন না যে পুলিশ এতো লেইট কেন করছেন আর ওসিকে কল করে দেখেন ফোন উঠাবেনা বলে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করেন যার কারনে পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের অনেক কথা কাটাকাটিও হয়েছে।
এক পর্যায়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) কে কল করে বিস্তারিত জানানোর পরে তিনি তখন দ্রুত পুলিশ টিম পাঠান এস আই মাহাবুব আসেন পরে পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না পারায় পুলিশ সুপার থানার সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার সাহেবকে পাঠান তখন মোটামুটি সব তদন্তের কাজ শেষ পর্যায়ে তখন গাড়ি দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের এসে নারী সাংবাদিক রুবীর উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে সে সিএনজিতে ধরে দাড়িয়েছেন কেন বেয়াদব হাত নামিয়ে কথা বল পরে এক পর্যায়ে নারী সাংবাদিক এর হাতে ধরে টেনে সিএনজি থেকে হাত নামিয়ে লাঞ্ছিত করছিলেন।
এই বিষয়ে বাকি দুই সাংবাদিক এটি ঠিক করছেন না বললে তখন অন্ধকার এর জন্যে সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এত মুঠোফোনের ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে রাখেন কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের ভিডিও করা হচ্ছে বলে তার নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার অপকর্ম ফ্ল্যাশ হয়ে যাবে মনে করে মোঠু ফোনটি কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার এর হাতে দেওয়া হলে মামুন নামের ছেলেটি ফোনটি তার হাত থেকে নিয়ে জাতীয় দৈনিক দেশপত্র পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র সাংগঠনিক সম্পদক, ঢাকা প্রেসক্লাব এর কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল খন্দকার যার রিপোর্টিং এর লাইফে ৩ টি রিপোর্টিং ছাড়া সব গুলি রিপোর্টিং এতে সফলতা পেয়েছেন, পাপিয়ার মতোন আলোচিত ও ওসি প্রদীপ এর মতো আলোচিত ক্রাইম রিপোর্টিং এতে ও মাসের পর মাস কাজ করে সফলতা পেয়েছেন কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে তার ফোন থেকে অনেক সংবাদের তথ্য ও ব্যক্তিগত তথ্য ডিলেট করা হয়েছে বলে জুয়েল খন্দকার জানিয়েছেন।
সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার জানান যে প্রথমে যখন পুলিশ আসেন মামুনকে উপজেলা চেয়ারম্যান পাঠিয়েছেন বলার ডকুমেন্টস রাখার জন্যে গোপনে ভিডিওটি করেন ১৩ সেকেন্ড এর সেই ভিডিওটি ডিলেট করে দেন সেই সাথে আরও অনেক গুলি সাংবাদিকতার ও ব্যক্তিগত তথ্য ডিলেট করে দেন এক পর্যায়ে ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন সেকেন্ট অফিসার আনোয়ার। পরে সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার ফরেস্ট অফিসে খবর দেওয়া হয় গাছ গুলির সত্যতা যাচাই করার জন্যে।
তবে বিল্লাল চেয়ারম্যান এর ৪২ শতাংশ এর মতো পাহাড়ি জমির গাছ কাটছেন তবে কোন প্রকার ডকুমেন্টস ছাড়া রবিন এর কাছে বিক্রি করেছেন বলে সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বলতে শুনা যায় কিন্তু ফরেস্ট গাছ গুলি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা যায় উপজেলা চেয়ারম্যান এর ক্ষমতার তারিফ করতে হয়, তার নিজ এলাকায় সে সব করতে পারেন এতে আর বুঝার বাকি রইলো না ! তবে সেকেন্ড অফিসার ও এস আই মাহাবুব দায়িত্ব থেকে দারুন ভূমিকা রেছেন।
উক্ত ঘটনার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএস) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেশপত্র পত্রিকা নির্বাহী সম্পাদক জুয়েল খন্দকারসহ নারী সাংবাদিক কুমিল্লার আলোর রিপোর্টার ত্র্যানী ও জাতীয় দৈনিক সরজমিন বার্তা”র সাংবাদিক রুবী’কে লাঞ্ছিতের ও তাদের সাথে মারমুখী আচরনের ও ফোন থেকে তথ্য ডিলেট করে দেওয়ার ঘটনার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, পুরান ঢাকা সাংবাদিক ফোরামসহ আরও অন্যান্য সংগঠন এর নেতারা জনপ্রতিনিধির এমন আচরনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও এমন জনপ্রতিনিধি জাতীকে কি দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের কাছে প্রশ্ন রাখেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের এর পদত্যাগ এর দাবী জানিয়েছেন।