নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউসিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। এতে করে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পানি বন্দী পরিবার গুলোর মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিনের প্রবল টানা ভারী বর্ষণের ফলে ঘুজিয়াখাই গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এই গ্রামে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানির সৃষ্টি হয়েছে।যারফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গ্রামের বেশির ভাগ বাড়ি ঘর ও রান্না ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন যাপন করছেন পরিবার গুলো।
অনেক পরিবারের রান্না ঘরের চুলা পানির নিচে থাকায় দোকান থেকে রুটি বা শুকনো খাবার খেয়ে দিনানিপাত করছেন। তাদের গবাদি পশু গুলো রাস্তায় রাখা হয়েছে।
অনেক পরিবার তাদের শিশু বাচ্চা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন। বাচ্চারা যে কোন সময় পানিতে পড়ে ডুবে মরার ভয়ে সারাক্ষণ পাহাড়া দিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। অনেকের ঘরে পানি উঠায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে ঘুজিয়াখাই সড়কের মাঝরাস্তা ভেঙ্গে ধ্বসে নীচে পড়ে পড়ে গেছে। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার কারনে দোকানপাঠ ও বসত ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় আশংকা দেখা দিয়েছে।
ঘুজিয়াখাই গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে তাদের চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় মানুষ পানি বন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সহ প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। সরকার বা প্রসাশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সহযোগীতা পায়নি পানি বন্ধী লোকজন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অপরদিকে পানি বন্ধী মানুষের দুঃখ লাগবের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী মিলে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার স্থলে পাইপ লাগিয়ে নিজেরা শ্রম দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছ।গ্রামবাসির পক্ষে প্রায় ১৪ /১৫ জন লোক মিলে দিন রাত শ্রম দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জলাবদ্ধতার কারণে চলাচল ও পানি নিষ্কাশন বিষয়ে চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিপাকে পড়া মানুষদের পক্ষ হয়ে তাদের সহযোগীতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করবেন। ঘুজিয়াখাই গ্রামের পানি বন্ধী মানুষের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনলাম।তিনি বলেন আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।