ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আবারও বলেছেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে চীনের হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ নেই। বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এর আগে গত সপ্তাহেও একই কথা বলেছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে চীন। নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বটা তারা আরও বেশি এগিয়ে নিতে চায়, আমরাও চাই। আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা খুবই পরিষ্কার। আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে যে দেশ কারা পরিচালনা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই চান।’
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মোংলা বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই বন্দরকে কেন্দ্র করে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখছি। বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনে বিশ্বে আমরাই সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। কাজেই আমরা কেন মোংলা বন্দরে বৈদ্যুতিক ও ব্যাটারি প্ল্যান্ট স্থাপন করব না? আইসিটি, সৌর বিদ্যুৎ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণেও বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারবে চীন। আম, কাঁঠালসহ বাংলাদেশে বিপুল ফল উৎপাদিত হয়। এজন্য এখানে ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে সহায়তার আগ্রহ দেখিয়েছে চীন।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াও শিল্প ও তৈরি পোশাকখাতে চীন বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা (চীন) যে ভূমিকা রাখছে, যেভাবে সহযোগিতা করছে, তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নে তারা একটি প্রকল্প দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পের ক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ করতে চায়। কৃষি শিল্প, তৈরি পোশাক খাতে তারা ভূমিকা রাখতে চায়।’
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার