1. admin@gmail.com : bdccrimebarta :
পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ - বিডিসি ক্রাইম বার্তা

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন

পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানী মিরপুরের মণি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে! ষষ্ঠ- সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ থাকলে ও নির্দেশনা অমান্য করে ব্যক্তি স্বার্থে রাজধানীর মিরপুর ১নং সেকশনে অবস্থিত মণি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দলীয় প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে, ছাত্র- ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি’র নামে জন প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায়ের করছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনরকম প্রশ্নপত্র না দিয়ে বই দেখে খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখার মাধ্যমে পরীক্ষার নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে মাধ্যমিক শাখার ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া সরকার ও বোর্ড কর্তৃক সাময়িক সময়ের জন্য নির্দেশনা দিয়ে স্থগিত করা আছে।

সরেজমিনের ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুরের ১নং সেকশনের মণি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সকল শ্রেণীতে সরকারি ঘোষণা কে অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ব্যাবস্থাপনা কমিটি মিলে ছাত্র -ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য নামে মাত্র পরীক্ষা নিচ্ছেন আর এর জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা করে পরীক্ষার ফি বাবদ বাধ্যতামূলক আদায় করছেন।

অভিভাবকরা অভিযোগ করে আরো বললেন, কোন পড়াশোনা না করিয়ে শুধুমাত্র টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য পরীক্ষার নামে তামাশা করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরীক্ষা বিষয়ের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, তাদেরকে কোন প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় না এবং প্রশ্ন বিষয়ে বাইরে বলারও অনুমতি নাই তাদের। বই, খাতা, ব্যাগ সাথে এনে বই দেখে দেখে কাগজে লিখার নামে এক অদ্ভুত ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই এর কাছে পরীক্ষা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন উত্তরে বলেন, পার্বিক পরীক্ষা হিসাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আবার বলেন, শ্রেণী মূল্যায়ন বা প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

সরকার ও বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা ফি’র নামে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আবারো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই। প্রথমে তিনি স্বীকার করেন বিদ্যালয়ের জমা রশিদের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে ফি আদায় রশিদ দেখতে চাইলে, তিনি তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, যে বা যারা আপনাদের কাছে অভিযোগ করেছে তাদের কাছে গিয়ে রশিদ দেখে নেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিরপুরের যত বিদ্যালয় আছে সবাই এভাবে পরিক্ষা নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি। নির্দেশনা অমান্য করে এ জাতীয় পরীক্ষা নেওয়া বৈধ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দম্ভ করে বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি আমরা এমন অবৈধ কাজ করতে-ই পারি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কোনো কাজ বৈধভাবে করছে না বলেও জানান তিনি। কোন আওয়ামী লীগ তাকে এরকম অবৈধ কাজ করতে উৎসাহিত করছেন এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি স্থানীয় সংসদ ও শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু সাহেবের নাম বলেন।

তিনি আরো জানান যে, পরীক্ষা নেওয়া ও পরীক্ষার নামে ফি আদায় করা সব কিছু এমপি সাহেবের নলেজে আছে এবং তার অনুমতিতে সকল কিছু করা হচ্ছে। তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইল তিনি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, শাহালী থানা আওয়ামী লীগ বলে জানান । দলীয় পদে থেকে দল সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনো কিছু ঠিক করছে কিনা এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকদেরকে। এছাড়াও সভাপতি সাহেব উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সাথে কথা বলেন যা ভদ্র সমাজে খুবই আপত্তিকর এবং লজ্জাস্কর। এছাড়া মিরপুরের অন্যান্য বিদ্যালয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কোন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা নিচ্ছে না।

উল্লেখিত বিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড ও ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মন্তব্য বিষয়ে স্থানীয় সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আগাঁ খান মিন্টু মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন বিদ্যালয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না। বিদ্যালয় গুলো সরকারি নির্দেশনা মতে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে। মণি কানন উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তুহিন সাহেব দল সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছে এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত ও এর দায়বার তিনিই নিবেন, এর সাথে আমার বা আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। এছাড়া এমপি মহোদয় আরো বলেন, তুহিন সাহেব এমন মন্তব্য কেন করলেন সে বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দলের গঠনতন্ত্র মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মণি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ সাহেব বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণীর নতুন শিক্ষার কারিকুলামে কিভাবে পরীক্ষা হবে, কি ভাবে প্রশ্ন তৈরি করা হবে, শিক্ষকরা কিভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন সে বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে।এখনো সে বিষয়ে কোনরকম গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়নি, এই কারণে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীগুলোতে সাময়িক সময়

Please Share This Post In Your Social Media


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 bdccrimebarta.com