নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- ফতুল্লার পাগলা থেকে চুরি হওয়া দুইটি ব্যাটারী চালিত মিশুক গাড়ি উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মিশুকের মালিক মোঃ পারভেজ বেপারী ৯ জনের নাম উল্লেখ্য ও ২/৩ জন কে অজ্ঞাতনামা করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পশ্চিম মাসদাইর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মোঃ পারভেজ বেপারী ও মৃত. তছলিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুরুজ এর দায়ের করা মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, তারা উভয়ে মিলে যৌথ ভাবে আটো গ্যারেজ ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি।
এজাহারের ১ হইতে ৫ নং বিবাদী আমাদের গ্যারেজ হইতে দৈনিক ভাড়ার চুক্তিতে ব্যাটারি চালিত অটো/ মিশুক গাড়ী চালাইত আসিতেছে। (৪৩) মৃত নাসির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান, তার ছেলে আলী আকবর ও বায়জীত, মোঃ লুৎফর রহমান পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ছাতিনালী, থানা- পাঁচবিবি, জেলা- জয়পুরহাট, সর্ব এ/ পি সাং মাসাদইর (নূর মোহাম্মদ এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), মাসদাইর কালাচাঁনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া জহুরুল, পশ্চিম নন্দলাল পুর এলাকার ছামাদ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে তোতলা জাহাঙ্গীর, মৃত আলী উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, দক্ষিণ নয়া মাটি।
কবরস্থান এলাকার মৃত. আলী আহম্মদ মাষ্টারের ছেলে আক্তার হোসেন (ক) নজু আক্তার, পাগলা বৈরাগী বাড়ী এলাকার অক্তারের ছেলে আবদুল মান্নান সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ১৫ অক্টোবর প্রতিদিনের ন্যায় সকাল অনুমান ৭ টায় ১ নং বিবাদী একটি ২ নং বিবাদী একটি ৩ নং বিবাদী একটি ৪নং বিবাদী একটি এবং ৫ নং বিবাদী একটি করে মোট পাচ জনে পাচটি ব্যাটারি চালিত অটো/ মিশুক গাড়ী চালানোর জন্য আমাদের গ্যারেজ হইতে বাহির হইয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত বিবাদীগণ অটো/ মিশুক গাড়ী নিয়া আমাদের গ্যারেজে ফিরে আসে নাই।
তাহাদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করিলে তাহাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরস্পর খোঁজখবর নিয়া জানতে পারি ১ হইতে ৫ নং বিবাদীগণ সহ ৮ ও ৯ নং বিবাদীসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের আমাদের অটো গ্যারেজ হইতে ০৫ টি আটো/ মিশুক গাড়ী যাহার মূল্য পৌনে ৫ লাখ টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায় এবং আমাদের চুরি যাওয়া অটো/ মিশুক গাড়ী ৫ টি ৬ ও ৭ নং বিবাদী দ্বয়ের গ্যারেজে বিক্রয় করিয়া দিয়েছে উক্ত বিবাদীদ্বয় অটো/ মিশুক গাড়ীগুলো চোরাই জানিয়াও ক্রয় করিয়াছে। আমার চোরাই যাওয়া অটো/ মিশুক গাড়ি মধ্যে হইতে বাটারি ছাড়া ২ টি অটো/ মিশুক গাড়ী ৬ ও ৭ নং বিবাদীদের গ্যারেজ হইতে পুলিশ উদ্ধার করে। অবশিষ্ট গাড়ি গুলো উদ্ধারের জন্য থানায় এজাহারের পর মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ পারভেজ বেপারীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বলেন, পারভেজ ভাই একটু আগে ভাত খেতে বাসায় গেছে। আপনি একটু পরে ফোন দেন। আমাদের মোট ৮ টি গাড়ি চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক মো.মফিজুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। এবং নাক কাটার মোড়ে একটি অটো গাড়ির গ্যারেজ রয়েছে জানতে পাই। পরে আমি হোসেনের নম্বরটি সংগ্রহ করে ফোন দেই। স্থানীয়রা জানায়, মুল তোতলা জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন, মান্নান ও হোসেন গংরাই বিভিন্ন স্থান হতে আসা চোরাই গাড়ি গুলো ক্রয় করে রেখে অন্যত্র বিক্রি করেন। সেখানে গিয়ে গাড়ির পেছনে থাকা নম্বরে ফোন দিয়েই গাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসে তার গাড়ি গুলো সনাক্ত করেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এক সময়ে আক্তার হোসেন গংরা আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতো। বর্তমানে কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর থেকে তার নাম ব্যবহার করে কুতুবপুরের বিভিন্ন স্থানে চোরাই ইজিবাইকের ব্যবসা, চুরি ও জুয়া খেলা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার