মোঃ ফয়সাল হাওলাদারঃ-
প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মা- মেয়ে’র অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফ্লাটের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বিষয়টি অনুধাবন করছিলেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার। এমনই দাবি জানিয়েছেন, দৈনিক দেশবাংলা ডেস্ক ইনর্চাজ ও সংবাদ টিভির চেয়ারম্যান সাংবাদিক জুয়েল। তিনি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খালপাড় রোড আউয়াল কলেজের পাশে বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা সেলিম আহম্মেদ’র বাড়িতে পঞ্চম তলায় বসবাস করেন। নিজে বসবাস করা ফ্লাটে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড আদর্শের জায়গা থেকে এড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি।
তাই বিষয়টি নিয়ে ফ্লাটের মালিক বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা মোঃ সেলিম আহম্মেদকে অবগত করে ছিলেন। কিন্তু প্রতিকার তো হলোই না উল্টো পরিবারসহ বাড়ির মালিক বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা সেলিম’র দেয়া হত্যার হুমকির মুখে পড়ে গেলেন। তাও পুলিশ কর্মকর্তা’র সম্মুখে দাঁড়িয়ে কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সেলিম।
এলাকাবাসী'রা বলছেন, সেলিম নিজেই তো অপরাধী, নারী কেলেঙ্কারি, ভূমিদস্যুতা ও মাদকসহ নানা রকম অপরাধকর্মে জড়িত। সেক্ষেত্রে প্রতিকারের তো প্রশ্নই আসে না। বরং অপরাধ ও অপরাধী টিকিয়ে রাখতে সে শেল্টার দিবে এটা স্বাভাবিক। সাংবাদিক শুধু নয় অপরাধ কর্মে যে তার পথের কাঁটা হবে তাকেই সে কেটে টুকরো করে ফেলবে এলাকাতে এমনই হুংকার দিয়ে থাকেন প্রায় সময়। আর এরই বাস্তব প্রতিফলন আর দুঃসাহস দেখালেন পুলিশের সম্মুখে দাঁড়িয়ে সাংবাদিককে কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে।
সেলিম’র এমন দুঃসাহসিকতার কথা জেনে হতবাক স্থানীয়রা। এবার এলাকাবাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেলিমকে সমাজের ক্ষতিকারক দুর্গন্ধ ছড়ানো পোকা আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন। এদিকে কেটে ফেলা বা হত্যার হুমকির সূত্রপাত প্রসঙ্গে সাংবাদিক জুয়েল আমাদেরকে জানান, বাড়ির ফ্লাটে মা- মেয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এটা নিয়ে অন্যান্যরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলেন না। ক্রমেই নষ্ট হচ্ছিল ফ্লাটের পরিবেশ, যেখানে পরিবার নিয়ে থাকা মানসম্মানের প্রশ্ন এবং শিশু বা পরিবারের মেয়েছেলেদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল।
সেলিম নিজে অপরাধী বা যেমনই হোক সে ভবনের মালিক সেই হিসেবে তাকে জানানো উচিৎ এমন চিন্তা থেকেই তাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সাংবাদিক। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি আর সাংবাদিক জুয়েল পেলেন তারই ফলাফল। এসব বিষয় নিয়ে বলতে গেলে সেলিম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এর প্রতি। অকথ্য গালাগালি করে পরিবারসহ চিরদিনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিবে বলে হুমকি ধামকি দেন তিনি। পরবর্তীতে জুয়েল নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তায় বিষয়টি দ্রুত ফেসবুকে দিয়ে সহকর্মীসহ সকলের নজরে আনেন।
এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সহকর্মীদের পরামর্শে কামরাঙ্গীচর থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয় যাহার নং ১২৩৮। এ ঘটনার আগে পুলিশ আসলে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর শরীফ হোসেনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে সেলিম সাংবাদিক জুয়েলকে কেটে ফেলার হুমকি দেন, সাংবাদিক জুয়েল ও তার পরিবার সদস্যরা এ ঘটনার পর থেকে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্কিত।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সেলিম’র অপরাধ সাম্রাজ্য গুড়িয়ে দিতে প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন। এরই সাথে চেয়েছেন সাংবাদিক জুয়েল সহ তার পরিবার সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তা।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার