রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ- বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। মাছ ধরতে যাওয়া পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর অসংখ্য জেলে ট্রলার গভীর সাগর থেকে তীরে এসে আশ্রয় নিয়েছে।তবে বিকেল পৌনে চারটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা গ্রামের ইদ্রিস মুন্সির মালিকানাধীন জেলে ট্রলার ১৩ জন মাঝিমাল্লাসহ ডুবে যায়।
ট্রলার মালিক ইদ্রিস মুন্সির ভাই ইলিয়াস মুন্সি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ট্রলারে থাকা প্রত্যেক মাঝিমাল্লা অন্য ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারের কোন সন্ধান মেলেনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের আজহারের ১২ জন, হালিম খানের ১৪ জন, মধ্য চরমোন্তাজের খলিল মুন্সির ১৪ জন, রহম আলী মৃধার ১৩ জন, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাইয়াপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন গাজীর ১৩ জন এবং চরগঙ্গা গ্রামের আজহার দস্তুরের ১১ জন মাঝিমাল্লাসহ তাদের ৬টি ট্রলার নিখোঁজ।
শুক্রবার রাত ৭ টায় এ প্রতিবেদন প্রেরণের আগ পর্যন্ত ওইসব ট্রলার এবং মাঝিমাল্লাদের সন্ধান মেলেনি বলে নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ও ট্রলার মালিক পক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে, মাছ ধরতে গিয়ে সাগর উত্তাল থাকায় টিকতে না পেরে উপজেলার চরমোন্তাজ স্লুইসঘাট, সোনারচর, কোড়ালিয়া, নিজকাটা, মৌডুবি, খালগোড়া, গঙ্গিপাড়াসহ উপকূলের তীরবর্তী এলাকার নিরাপদ স্থানে এসে ট্রলার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য জেলে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমরা এবিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি এবং কোস্টগার্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার