• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কুষ্টিয়ার খোকসা নামেই পৌরসভা, মিলছে না নাগরিক সেবা বেনাপোলে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক  ত্রিশালে তথাকথিত রংধনু টিভির মালিক আনোয়ার সাদাত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাধবপুরে বড় ভাইয়ের বউ নিয়ে ছোট ভাই নিরুদ্দেশ যারা গায়েবি মামলা করেছিলেন এবার তাদের চিহ্নিত করতে রিট ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী আরও ৩ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আনিসুল-সাদেক-শাজাহান অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত সেনা কর্মকর্তা সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ দিনের রিমান্ডে পরিস্থিতি যাই হোক, ড. ইউনূসের পাশে থাকবেন সেনাপ্রধান

বরিশালে আয়কর দিতেও ঘুষ, সনদ নিতেও ঘুষ!

Reporter Name / ৮৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল কর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বিনা ফি-তে এই সনদ দেয়ার কথা থাকলেও অসাধু কর্মকর্তারা এ জন্য অর্থ নেয় বলেও দাবি ভুক্তভোগীদের।

একাধিক সেবা গ্রহীতার অভিযোগ, ই-টিন (টিআইএন) নিবন্ধন, আয়কর রিটার্ন প্রতিবেদন, টিন (টিআইএন) সনদ- প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘুষ দাবি করেন অফিসের কর্মকর্তারা। ঘুষ না দেয়া পর্যন্ত কোনো কাজই হয় না। এছাড়া ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ‘অ্যাকশনে’ যাওয়ার ভয় দেখিয়ে মালিকদের থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সেবাগ্রহীতা আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ই-টিন (টিআইএন) নিবন্ধন, আয়কর রিটার্ন প্রতিবেদন, টিন (টিআইএন) সনদ নেয়ার জন্য লাচিন ভবনস্থ কর অফিসের ৫ তলায় সার্কেল-৩ তে যাই, যাওয়ার পর আমাকে একটি ফরম দিলে সেটা পূরণ করে দেয়ার কথা এবং সার্টিফিকেট বাবদ আমার কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা জোর করে ঘুষ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।

আসলে মূলত সরকারি ফি ৫ হাজার টাকা সেটা আমি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিয়ে আসি। অতিরিক্ত এই টাকা নেয়ার কথা জানতে চাইলে আমাকে তাদের উপরস্থ কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ তাদের খরচের কথা বলে।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে ই-টিন (টিআইএন) নিবন্ধন, আয়কর রিটার্ন প্রতিবেদন, টিন (টিআইএন) সনদের কথা জানতে চাইলে নিম্নমান সহকারী আসমা আক্তার জানান, সরকারি ফি ছাড়াই ৫ হাজার টাকা আমাকে দিতে হবে, আমার সাথে উপর মহলের হাত রয়েছে। আমি কাজ স্বচ্ছভাবে করে থাকি।

সহজেই কারো কাজ করিনা, আপনাদের ভালো লাগছে তাই করবো। কমানোর কথা বললে বলেন, আমি তো একা টাকা খাইনা আমাদের স্যারকেও দিতে হয়, সে দুই হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। কম্পিউটার যে কাজ করে তাকেও দিতে হয়। এক পর্যায়ে তিনি ৪ হাজার পাঁচশত টাকায় রাজি হোন তিনি।

একই বিষয় উচ্চমান সহকারী মো: হান্নান খান বলেন, সরকারি ফি ছাড়াই আমি ৩৫০০ টাকা নিয়ে থাকি। দ্রুত কাজ হবে চিন্তা করবেননা, এটা আমাদের খুশী করতে হয়।

এ বিষয় বরিশাল কর অঞ্চলের সার্কেল -৩ এর অতিরিক্ত সহকারি কর কমিশনার কে এম মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ঘুষ নেয়ার কথপোকথন ভিডিও চিত্র দেখানো হলেও তিনি সাক্ষাৎকার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category