শ্রীনগর প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া স্বরুপ চন্দ্র পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি মাসের ৭ ই নভেম্বর দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ১৭ জন দাতা সদস্যদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আছেন, যাহারা আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। তার পরেও তিনি দাতা সদস্য হিসেবে আছেন। কি ভাবে দাতা সদস্য হলেন নিজেই জানেন না!
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়ার আলীর সাথে, তিনি বলেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের ১৮০ দিন পূর্বে দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার বিধান আছে নিয়ম মেনে সবকিছু করা হয়েছে। তিনি বলেন কয়েকজন দাতা সদস্যের অর্থ চলমান কমিটির দাতা সদস্য মিজানুর রহমান জুয়েল দিয়েছেন এখানে উল্লেখ যে ১৭ জন দাতা সদস্যদের মধ্যে তারা সহোদর চার ভাই আছেন এবং চলমান কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু’র সহোদর বড় ভাই।
কাঠ মিস্ত্রি আলমগীর এবং ইমতিয়াজ কিভাবে দাতা সদস্য হলেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন মিজানুর রহমান জুয়েল ভাই তাদের টাকা দিয়েছে। চলমান কমিটির কোয়াব সদস্য নুরুল ইসলাম তিনিও কয়েক জনের টাকা জমা দিয়েছেন। দাতা সদস্য সংগ্রহ সার্কুলেশন এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের বোর্ডে নোটিশ টাঙানো এবং শ্রেণী কক্ষে শিক্ষকগন ছাত্র ছাত্রীদের জানিয়েছেন।
বাঘড়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিক্ষণুরাগী রাহাদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, এই স্কুলে আমার পিতা পড়ালেখা করে ছিলেন। নতুন দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুনি নাই। কেউ কিছু বলেন নাই। বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল বলেন, দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাকে কেউ কিছু বলেন নাই।
বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুয়েম আহম্মেদ মিয়া বলেন, স্কুলের দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুনি নাই। স্কুল সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা শিক্ষকদের বিষয়, এটা আমার বিষয় নয়। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, আমিও দাতা সদস্য হতাম চলমান কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি শাহ আলম বেপারী বলেন, স্কুলে দাতা সদস্য নেওয়া হবে আমাকে কেউ বলেন নাই।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম শাহাবুদ্দিন খান স্যারের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন খান ম্যাগনেট বলেন এই বিষয়ে তেমন কিছু শুনি নাই। বাঘড়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, এমন কিছু ব্যক্তি দাতা সদস্য হয়েছে যাদের পক্ষে কখনোই বিশ হাজার টাকা একত্রিত করা সম্ভব না। দাতা সদস্য ইমতিয়াজ বলেন, আমি কি ভাবে দাতা সদস্য হলাম নিজেই জানি না কেউ আমাকে কিছু বলেন নাই। আমি কোনো টাকা পয়সা দেই নাই আমি কাঠ মিস্ত্রি কাজ করি।
শতবর্ষি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত নিয়ে এলাকায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পরছে একাধিক সূত্রে জানা। তাহারা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করার প্রস্ততি নিচ্ছেন। দাতা সদস্য মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, সরকারী সব বিষয় মেনেই কাজ করা হয়েছে। আমরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে অবগত করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আসরাফী বলেন, কমিটির বিষয় আমাদের হাতে নাই।