নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরে ঝিকরগাছায় গত, ২ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখের দুইটি পৃথক মামলা (১), যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মামলা নং- ৩১, তাং- ১৮/০৬/১৪ ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ ও (২) যশোর জেলার শার্শা থানার মামলা নং ২০, তাং ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (১) এর ১ (খ) ও ৩ (খ) এর আসামীদের বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তাৎক্ষণিক র্যাব- ৬, যশোর ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাকিতায় র্যাব- ৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ইং ০৫ অক্টোবর ২৩ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মামলা নং- ৩১, তাং- ১৮/০৬/১৪ ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইমামুল ইসলাম (৩১) যশোর ঝিকরগাছা থানাধীন কৃষ্ণনগর এলাকায় আত্ম-গোপনে আছে।
সংবাদ প্রাপ্ত হয়েই আভিযানিক দলটি তাৎক্ষণিক উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে একই তারিখ মধ্যরাতে আসামী ইমামুল ইসলাম (৩১), পিতাঃ- মাসুম, সাং- কাটাখাল ১নং কলোনী, থানাঃ- ঝিকরগাছা, জেলাঃ- যশোর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৭ জুন ২০১৪ তারিখ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে যশোর ঝিকরগাছা থানাধীন কাটাখাল ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালুর ছেলে ভিকটিম বিপ্লব হোসেন ও তার ভাইরার ছেলে মিলন কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝিকরগাছা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক কায়েম আলীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামী ইমামুল ইসলাম ও আক্তাফুর সহ অন্যান্য আসামী'রা মিলে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় বিপ্লবকে উদ্ধারের জন্য মিলন এগিয়ে আসলে আসামী'রা তাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১৮ জুন ২০১৪ তারিখ আহত বিপ্লবের পিতা কালু বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। বিপ্লবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৬ দিন পর বিপ্লব মারা যায়। উক্ত ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামী ইমামুল ইসলাম (৩১) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ইং ০২ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। র্যাব- ৬, যশোর ক্যাম্পের অপর একটি আভিযানিক দল ০৫/১০/২০২৩ ইং তারিখে মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন শংকরপুর এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা যশোর জেলার শার্শা থানার মামলা নং ২০, তাং ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ ( ১) এর ১ (খ) ও ৩ (খ) মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ হারুন- অর- রশিদ (৩২), পিতাঃ- ছিয়াব আলী, সাং- কুমড়ী, থানাঃ- ঝিকরগাছা, জেলাঃ- যশোর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী মোঃ হারুন অর রশিদ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে ০১ (এক) কেজি হেরোইন সহ যশোর জেলার শার্শা থানা এলাকা হতে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামীর বিরুদ্ধে যশোর জেলার শার্শা থানায় মামলা নং ২০, তাং ২৩/০৯/২০১৬ ইং, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ১(খ) ও ৩ (খ) মূলে একটি মাদক মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী এক বছর জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।
অন্য দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা টি তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামী মোঃ হারুন অর রশিদ (৩২) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ইং ০২ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত আসামী’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার